স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সড়ক খুঁড়ে, বাঁশ পুঁতে এবং ত্রিপল টানিয়ে গরু রাখা হচ্ছে। প্রস্তুত হয়ে গেছে হাসলি আদায়ের কাউন্টার আর গেইট। ক্রেতা আকৃষ্ট করতে লাগানো হয়েছে শব্দযন্ত্রও (মাইক)। অথচ, উপজেলা প্রশাসন থেকে স্থানটিতে অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা এখনও সম্পূন্ন হয়নি।
এই চিত্র ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ডের শান্তিধারা আবাসিক এলাকার প্রধান সড়কের। কারণ জানতে চাইলে দখলদার বলছেন, ডিসি-এসপি সবকিছুই জানে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাটির একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রতিবছরই অস্থায়ী পশুর হাটের বর্জ্যে এবং খোঁড়াখুঁড়িতে রাস্তার দফারফা হয়ে যায়। বৃষ্টি আসলে পরিস্থিতি আরও ভংঙ্কর হয়। এছাড়া রাস্তার দু’পাশে গরু রাখায় ভয় নিয়ে চলে আবাসিক এলাকার শিশু ও মসজিদের উদ্দেশ্যে চলাচল করা বৃদ্ধারা।
নিয়ম অনুযায়ী, অস্থায়ী পশুর হাট স্থাপনের জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর সরকারি হাট বাজার ইজারা ব্যবস্থাপনা ও পদ্ধতি সংশ্লিষ্টনীতিমালা অনুযায়ী সবকিছু ঠিক থাকলে ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে সিটি করবোরেশন বা উপজেলা প্রশাসন। নির্ধারিত দিনে সকলের সম্মূখে টেন্ডার খুলে সর্বোচ্চ দরদাতাকে হাটের ইজারাদার হিসেবে ঘোষণা করা হবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হলে ঈদের পূর্ববর্তী ৩ দিনের জন্য পশু বিক্রির অনুমতি পাবে ইজারাদার।
৩ জুলাই নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় শিডিউল বিক্রি শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় রাস্তার পশ্চিম পাশে হাটের ৩টি তোরণ তৈরি করা হয়েছে। বিতরে যেতেই সড়কেই চোখে পড়েছে সারিসারি বাস আর পিপালের ছাউনি। সেখানেই দুই সারিতে বেঁধে রাখা হয়েছে কোরবানীর গরু। ইজারা তোলার জন্য কাউন্টারও প্রস্তুত।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছরই হাটটি আগে দখল করে সড়ক দখল করেন। পরে ইজারা নেন আব্দুর রাজ্জাক বেপারী। এবারও তিনি দখল করেছেন।
নিয়ম নীতির বাহিরে গিয়ে হাট বসানোর কারণ জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক বেপারী ক্ষেপে গিয়ে বলেন, ‘এটা কোন অপরাধই না। নিয়ম শুধু আপনাদের মতো শুকনা সাংবাদিকদের কাছে, আর মানুষের (হাট সংশ্লিষ্ট প্রশাসন) কাছে আইন নাই? হাটে গরু উঠিয়েছি, এই কথা ডিসি-এসপি সকলেই জানে। আমরা যে ভাবে হাট করছি, সেভাবেই করে যাবো। আপনি (সাংবাদিক) এতো মাথা ঘামায়েন না। আর মাথা ঘামাইয়া কি করতে পারেন, দেখি। আমাদের সাথে নারায়ণগঞ্জের অনেকেই আছে।’
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রিফাত ফেরদৌস জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তথ্যের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।