আর্ন্তজাতিক ডেস্ক, লাইভ নারাযণগঞ্জ: সাধারনত নিজ দেশের গড় উর্পাজনের চেয়ে বেশী অর্থ উর্পাজনের জন্য একজন ব্যক্তি প্রবাসে যাওয়ার ইচ্ছা পোষন করেন। আর এ প্রবাসে যাওয়ার জন্য বেছে নেয় নানান কৌশল বা ফন্দি ফিকির। কেউ তাতে জয়ী হয়ে কাটায় সুখের প্রবাস জীবন। আবার কেউ প্রবাসে আইন শৃংখলার কাছে ধরা খেয়ে কাটায় দিনের পর দিন জেলে।
প্রবাসে ধরা খেয়ে নিজের মামলা লড়েছে এমন কথা প্রায় বিরল কিন্তু এ বিরল শব্দটিকে জয় করে এক বাংলাদেশী পেয়েছে গ্রীন কার্ড।
দীর্ঘ ১০ মাস কারাভোগের পর মুখে হাসি ফুটেছে প্রবাসী এমডি মামুনের (২৪)। গ্রিনকার্ডের অনুমোদন পেয়েই মুক্তি পেয়েছেন তিনি। এই ১০ মাস তাঁকে আটক কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের কঠোর অভিভাসন নীতির মধ্যেও আইনি লড়াই চালিয়ে যান মামুন। ইমিগ্রেশন আদালতে তাঁকে আইনি সহায়তা দিয়ে মুক্ত করেছে খ্যাতনামা আইনি পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ‘চৌধুরী অ্যান্ড ফ্রানজোনি’।
মামুন মুক্তি ও আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়ায় তাঁর পরিবার ও স্বজনেরা আইনি পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠানটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি মামুন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে বিভিন্ন দেশ ঘুরে ১২ মে টেক্সাস দিয়ে আমেরিকায় ঢোকেন। সেখানে তিনি লরেডো পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। সেখান থেকে তাকে তিনটি আটক কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। সর্বশেষ বাফেলো আটককেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মামুন কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁর মুক্তির জন্য পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিতে থাকেন।
সর্বশেষ আইনি পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান চৌধুরী অ্যান্ড ফ্রানজোনির সঙ্গে ডিসেম্বর মাসে মামুনের চাচা আবদুল খালেদ যোগাযোগ করেন। চৌধুরী ফার্মের আইনজীবী শাহরিয়ার এ চৌধুরী (ইএসকিউ) ও মো. আতিক ইমিগ্রেশন কোর্টে গিয়ে মামুনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করেন।
বিগত ১০ মাসে একাধিকবার ইমিগ্রেশন কোর্টে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর ১৩ মার্চ নিউইয়র্কের ৪২৫০ বাটাবিয়া ১০৮ নম্বর রুমের ইমিগ্রেশন আদালতে সর্বশেষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবীরা। সেখানে আইনজীবী শাহরিয়ার চৌধুরীর উপস্থিতিতে আদালত সব বিষয় শুনে মামুনের মামলা গ্রহণ করে স্থায়ীভাবে তাঁকে আমেরিকায় বসবাসের অনুমতি দেন।
চৌধুরী ল’ ফার্মের কেস কো-অর্ডিনেটর নুসরাত শারমিন তিসাম জানান, আমাদের ফার্মের আইনজীবীরা সরাসরি আদালতে গিয়ে ভুক্তভোগীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। এতে করে বাদীর বিষয়গুলো যথাযথভাবে আদালতের কাছে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে একাধিক ইমিগ্রেশন মামলায় সাফল্য পেয়েছে বাদী পক্ষের লোকজন। তাই মানুষ চৌধুরী ফার্মকে একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান মনে করেন।
চৌধুরী ল’ ফার্মে ইমিগ্রেশন ছাড়াও সব ধরনের দুর্ঘটনা, রিয়েল স্টেট ও ট্রাফিক আইনলঙ্ঘন কাটানোর জন্য আইনি সহায়তা দেওয়া হয়।
নুসরাত আরও জানান, ‘এখনো অনেক বাংলাদেশি আটককেন্দ্রে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমরা আইনি সহায়তার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। তাই যেকোনো বিষয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ভুক্তভোগীদের অনুরোধ জানিয়েছেন।’
বিভিন্ন বিষয়ে চৌধুরী অ্যান্ড ফ্রানজোনি ল’ ফার্মের সঙ্গে বাংলায় কথা বলে বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে ৯২৯-৫০০-৯৬০২, ৭১৮-৫২৯-৮০০০, ২১২-৫২৯-৮০০০—এই নম্বরে যোগাযোগ করতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।