আ.লীগের দুঃসময়ে নিয়াজুল ও তার পরিবারের যে ভুমিকা ছিল..

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রেখেছিলেন অনেকেই। পরবর্তীতের ক্ষমতা পরিবর্তনে অনেক নির্যাতন এমনকি জিবনও দিতে হয়েছে অনেককে। তাদের মধ্যে একজন হলো নিয়াজুল ইসলাম। ২০০১ এর পর নারায়ণগঞ্জে নানা নির্যাতনের মধ্য দিয়ে চালিয়ে যেতে হয়েছে আওয়ামী লীগের রাজনীতি। বিভিন্ন হামলা-মামলার শিকারও হতে হয়েছে তাকে।

১৯৯৫ সালে সন্ত্রাসীদের শট গানের গুলি লাগার পরেও বেঁচে যান নিয়াজুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে ২০০৪ সালের ২৯ নভেম্বর নিহত হয় তার আপন ভাই নজরুল ইসলাম সুইট। সকল নির্যাতনের পরেও আওয়ামী লীগের সাথে আন্দোলন সংগ্রামে তারও ছিলো যথেষ্ট ভুমিকা।

নিয়াজুল ইসলাম ও তার ভাই নজরুল ইসরাম সুইটকে নিয়ে স্মৃতিচরণ করতে গিয়ে এড. খোকন সাহা বলেন, নিয়াজুল আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগি কর্মী। আন্দোলন সংগ্রামে তার ভুমিকাও ছিলো। ১৯৯৫ সালে বিএনপির সন্ত্রাসীরা শট গান দিয়ে নিয়াজুল কে শুইয়ে গুলি করলো। বিএনপির সন্ত্রাসীরা ভেবেছিলো নিয়াজুল মরে গেছে, পরে তাকে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।

তিনি বলেন, ‘১৯৭৭ সালে বিএনপির মোস্তাক আহমেদ বাইতুল মোকাররমে জনসভা বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন সুইট। এমনকি বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন ততকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরের সামনে কালো পতাকা নিয়েও দাড় হয়েছিলেন তিনি।’

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খানপুর বার একাডেমি স্কুল প্রাঙ্গনে আয়োজিত ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

নিয়াজুল ইসলাম ও তার পরিবারের কথা বিবেচনা করে সর্ব সম্মতিতে তাকে ১১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা।