লাইভ নারায়ণগঞ্জঃ সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, ১৯৭০ সালে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর নামে করা দেশের প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই স্কুলের সভাপতি জসিমউদ্দিনের নামে স্কুলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলছেন তারই ঘনিষ্ট লোকেরা।
স্কুল কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নাজির ফকিরের দাবি, স্থানীয় এমপি’র নাম ব্যবহার করে অর্থ লোপাটের সাথে জড়িত জসিম উদ্দিন।
‘এই স্কুলের মধ্যে অনিয়ম অবিচার চলতে দেওয়া হবে না। আপনারা এই দেশের মানুষ, আপনাদের এই সম্পদ দিয়ে গেছেন আরব আলী প্রেসিডেন্ট, এটা রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের। তাই আমি অডিটরিয়ামের হিসাব চাইলাম। সে আমাকে সরাসরি এমপিদের নাম ভাঙিয়ে বললো, এই স্কুলের অডিটরিয়াম আমাকে দিয়েছে আমি এর হিসাব দিবো না। আমি বললাম দুনিয়াতে কোথাও নাই, যেখানে স্কুলের অডিটরিয়াম হবে আর হিসাব দিতে হবে না। আমাদের এমপি সাহেব যদি এই কথা বলেন, আমরা তার কাছে জিজ্ঞেস করবো।’ এ মন্তব্য করেছেন তিনি।
৩ মার্চ (বুধবার) রাতে নতুন সৈয়দপুর ৭ নং ওয়ার্ড মধ্য এলাকা যুব সমাজের আয়োজনে টানা দুইবারের নির্বাচিত ও বাংলাদেশ সরকার হতে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম নওশেদ আলীর স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ কথা বলেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি নাজির ফকির।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন নওশেদ আলীর ছোট ভাই এবং বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিল্পপতি ফজর আলী। আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন গোগনগর ইউনিয়নের গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ সৈকত হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, সাবেক মেম্বার কুতুবউদ্দিন, সোহেল ফকিরসহ সৈয়দপুর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সকল নেতৃবৃন্দ ও যুবসমাজ।
নাজির ফকির আরো বলেন, ‘আমি যখন সদস্য হয়ে বঙ্গবন্ধু স্কুলে আসি, তখন আমার বাড়ির ছোট বড় কারো কথা না শুনে, খালি মিস্টার জসীমউদ্দিনের কথা শুনে তাকে স্কুলের সভাপতি বানাই। অন্যন্য সদস্যদেরকে, যারা রাজি ছিলো না তাদের ফুসলায়ে পারি আদর করে পারি জোরে পারি রাজি করিয়ে ওনাকে বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি বানিয়েছিলাম। তার সাথে কেউ ছিলো না, শুধু আমি ছিলাম। আমি ফকির বাড়ির সন্তান হিসেবে অনেকে এটা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু আমি যেটা করেছিলাম সেটা সঠিক না। তার কিছুদিন পরেই উনি আমার সাথে পল্টি নিলো। পল্টি নিলেন কি কারণে, আমি স্কুল থেকে হিসাব চাইলাম। কারণ, এই স্কুল আমাদের গোগনগরের সবার সম্পদ। কারো বাপের সম্পদ নয়। যেহেতু আমাদের সবার সম্পদ, আর আমার দাদা আরব আলি প্রেসিডেন্ট এই সম্পত্তি দিয়ে গেছেন, আমার অগ্রাধিকার আমি তার কাছে হিসাব চাইতেই পারি। যেমন দুইনম্বরী কাজ হওয়া শুরু করসে, তখনই আমি বাধা দিলাম। কেন এই ধরণের কাজ হয়? বিগত ৪০ বছর আমার চাচা, হামিদ ফকির সাহেব এই স্কুলের সাথে জড়িত ছিলেন এরপর আমি এসেছি। আমি আসার পর স্কুল যদি আগের মতো না চলে, তবে তো আমাকে জবাবদিহি করতে হবে আমার বাড়ির বাপ-চাচার কাছে, পরে এই দেশের জনগনের কাছে।’