তৈমুরসাব্বির আলম খন্দকার এর ১৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী ## টাকার কাছে হেরেছি বলে ভাইয়ের হত্যার বিচার পাই নি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারাগঞ্জয়ণ: ১৮ ফেব্রুয়ারি, বিকেএমইএ এর সাবেক সহ-সভাপতি সাব্বির আলম খন্দকার এর ১৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী। নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী আন্দোলনের পথিকৃত ছিলেন তিনি। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক সহ বিভিন্ন উন্নায়ন মূলক কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নগরীতে সাব্বির আলম খন্দকার এর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০ টায় শহীদ সাব্বিরের খুনিদের গ্রেফতার-বিচার ও পুরো জেলাকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করার দাবীতে বিশাল শোক র‌্যালী বের। নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু করে। র‌্যালীটি মাসদাইর পৌর কবরস্তানে গিয়ে শেষ হয়। পরে শহীদ সাব্বিরের কবর জেয়ারত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

র‌্যালীটির সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপি সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন খান। সমাবেশ পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

র‌্যালীতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দাকার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড.আজাদ বিস্বাস, মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক এটিএম কামাল, বিএিনপি নেতা খন্দকার মনিরুল ইসলাম, জেলা ওলামা দলের সভাপতি শামছুর রহমান বেনু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজউদ্দিন মন্তু , আইনজীবি নেতা এড.সরকার বোরহান, এড.হামিদ ভাসানী, এড.শিপলু, জেলা শ্রমিক দল সভাপতি নাসির উদ্দিন, মহানগর শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন প্রমুখ।

অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দাকার বলেন, আমার ভাইকে কোন ব্যক্তিগত কারণে হত্যা করা হয়নি। শুধু মাত্র সমাজসেবায় মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভাই আইনশৃঙ্খলার মিটিং এ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজীদের নাম উল্লেখ্য করে এবং কে কত টাকা পায় এসব বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আজও আমার ভাইয়ের হত্যা বিচার পাইনি। শুধুমাত্র টাকার কাছে হেরে গেছি। হত্যাকারীরা টাকা দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ চার্জশীট করিয়েছে। তাই আজও বিচার পাইনি। খুনিরা আবারো ঢাকায় ফিরে আমাদের খুন করার হুমকি দিচ্ছে।

প্রশঙ্গত ২০০২ সালের ২২ অক্টোবর সাব্বির আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস, চাঁদা ও মাদক মুক্ত করার জন্য নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসে অনুষ্ঠিত জেলার ৩২ টি ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে সেনাবাহিনীর মত বিনিময় সভায় সাব্বির আলম খন্দকার বক্তব্য রাখেন এবং দুর্নীতিতে জড়িত সকলের নাম প্রকাশ করেন।

এরপরই প্রাতঃকালীন ভ্রমনকালে শহীদ সাব্বির আলম খন্দকারকে গুলি করে হত্যা করা হয়।