প্রেস বিজ্ঞপ্তি: তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার মামলায় বিচারের দাবিতে আলোক প্রজ্জালন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কর্মসূচির আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।
সংগঠনের সহ সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিহত ত্বকীর বাবা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রথীন চক্রবর্তী, সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি এড. জিয়াউল ইসলাম কাজল, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, ন্যাপের জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন, বাসদের জেলা সংগঠক এস.এম কাদির, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, সামাজিক সংগঠন সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা প্রমূখ।
রফিউর রাব্বি বলেন, সরকার বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, জনগণের মৌলিক অধিকারকে ভূলুন্ঠিত করেছে, রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রতিনিয়ত সংবিধানকে লঙ্ঘন করে চলেছে। মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকারকে হরণ করেছে। ত্বকীর ঘাতকদের দেশে ও দেশের বাইরে সবাই চেনেন। অথচ হত্যার দশ বছর হতে চলল, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে এ বিচারটি বন্ধ করে রেখেছেন। তৈরী হয়ে থাকা অভিযোগপত্রটি আদালতে পেশ করা হলো না। প্রধানমন্ত্রী নির্লজ্জভাবে ত্বকীর ঘাতকদের পক্ষ নিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, যিনি একটি শিশু হত্যার বিচার বন্ধ করে রাখেন তিনি কী ভাবে মানবতার জননী হন। তিনি বলেন, ত্বকীর ঘাতক জেনেও প্রশাসন দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় না এনে সুরক্ষা দিয়েছে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ক্ষমতা আপনাদের কত দিন তা আপনারা ভালো করেই জানেন, যাবার আগে অন্তত ভালো একটা কাজের নজির রেখে যান।
সমাবেশে বক্তারা ত্বকী সহ সাগর-রুনী, তনু ও নারায়ণগঞ্জের আশিক, চঞ্চল, মিঠু ও ভুলু হত্যার বিচার দাবি করেন।
তারা বলেন, মানুষ আজকে দেশে ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ত্বকী হত্যার বিচার চাচ্ছেন। আমরা আশা করবো সরকার মানুষের এ দাবি ও প্রতিবাদের ভাষাকে বুঝবে, সকল হত্যার বিচার নিশ্চিৎ করবে।