স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ২ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ, অবৈধ ভাবে বন্ধ কারখানা অবিলম্বে চালু করার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে অন্তিম গার্মেন্টসের শ্রমিকরা।
শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর চাষাঢ়া থেকে শ্রমিকরা মিছিল শুরু করে। পরে ২নং রেল গেইটে এসে মিছিল শেষ হয়। মিছিল শেষ করে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিকরা কারাখানায় শ্রমিক ছাটাই বন্ধ, নির্যাতন বন্ধ করাসহ নানা দাবী তুলে ধরে। রূপগঞ্জ থানার রূপসির বরপায় অবস্থিত অন্তিম গার্মেন্টস।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, নারায়ণগঞ্জ জেলার গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক জাহঙ্গীর আলম গোলক, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম শরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সোহাগ, সিদ্ধিরগঞ্জের গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্যফ্রন্টের নেতা শাকিল, রূপগঞ্জের মিঠু সহ অন্তিম গার্মেন্টসের প্রায় অর্ধ শতাধীক শ্রমিক।
আবু নাঈম খান বিপ্লব বলেন, অন্তিম গার্মেন্টস’র শ্রমিকরা ৭ দিন যাবৎ আন্দোলন সংগ্রাম করেছে রাস্তায়। মালিক পক্ষ কোন পাত্তাই দিচ্ছে না। আরও প্রশাসনকে ব্যবহার করে শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করেছে। শ্রমিকরা যে সব এলাকায় বাস করছে, সেইখানে মালিক পক্ষের গুন্ডা বাহিনী দিয়ে শ্রমিকদের বাসা-বাড়িতে আক্রমন করছে। তারা অধিকার আদায়ের আন্দোলন করেছে। এটাই কি তাদের অন্যায়? সরকার বেতন-ভাতা এবং শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা যা বিবেচনা করে নির্ধারণ করেছে তাও যদি দিতো তাহলেও একটা কথা ছিলো তাও দিচ্ছে না। যদিও তা অতি সামান্য শ্রমিকদের হয় না। উল্টো শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করছে। ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলন করলে তাতেও তারা শ্রমিকদের উপর প্রশাসন দিয়ে অত্যাচার করছে। আমরা এর তিব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে অত্যাচার বন্ধ না করলে এবং আমাদের দাবি না মেনে নিলে আমরা কঠোর আন্দোলনে অগ্রসর হবো।
জেলা শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি সেলিম মাহমুদ বলেন, আমরা এই দাবির জন্য ডিসি মহোদয়, এসপি মহোদয়, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, বিকেএমই সহ মালিক পক্ষকে অনুরোধ করবো যে আপনারা বিষয়টাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন। না হলে শ্রমিকরা দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাবে। শ্রমিকদেরকে যে বেতন আপনারা দেন তাতে সংসার চলে না। প্রডাকশন শ্রমিকদের কাজের সঠিক পারিশ্রমিক না দিয়ে নিজেরা লাভবান হওয়ার সংস্কৃতি হতে বের হয়ে আসুন। বিবেককে জাগ্রত করুন, শ্রমিক বাঁচলেই উৎপাদন হবে। আর উৎপাদন হলেই আপনাদের গার্মেন্টস শিল্প এগিয়ে যেতে পারবে। শ্রমিকদের ক্ষিপ্ত করে আপনারা কখনোই এগোতে পারবেন না। দ্রুত ধংশ হয়ে যাবেন।