স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ৩টি থানা এলাকায় অনেকটা কারফিউ মতোই (বিশেষ ধরণের কর্মকাণ্ডকে নিষিদ্ধ) জারি করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন। আগামীকাল থেকে ওই থানা এলাকা গুলোতে কেউ প্রবেশ বা বাহির হতে পারবে না। এর ব্যত্যয় হলেই আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার (৫ এপ্রিল) রাতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে করোনা সংক্রান্ত পরবর্তী করনীয় বিষয়ে জরুরী আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। থানা গুলো হলো নারায়ণগঞ্জ সদর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ (শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিমা ও বুড়িগঙ্গার পূর্ব অংশ)।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোহাম্মদ শামীম বেপারী লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, রাতে দীর্ঘ সময় আলোচনার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়। আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে যদি কেউ নারায়ণগঞ্জ সদর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ (শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিমা ও বুড়িগঙ্গার পূর্ব অংশ) থানা এলাকায় বাড়ির বাহিরে কিংবা রাস্তাতে বের হয়। তাহলে আইনানুক ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিবে। এ এলাকা গুলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ কঠোর নজরদারীতে রাখবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম জানান, ‘আমরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি নারায়ণগঞ্জ শহরের সদর উপজেলাধীন তিনটি থানা অর্থাৎ সিদ্ধিরগঞ্জ, সদর থানা ও ফতুল্লা থানা এলাকার কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হবে না এবং বাহির থেকে কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয় হবে না। এসব এলাকায় বিনা প্রয়োজনে রিকশারোহী, প্রাইভেটকার আরোহী, মাইক্রোবাস আরোহী ও মোটরসাইকেল আরোহী যারাই যে কাজে বের হোক তাদেরকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে এবং বের হওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে প্রশাসন বের হওয়াটা জরুরী ছিল কি না তা নির্ণয় করবে। এক্ষেত্রে সামাজিক নিরাপত্তা ও দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে কিনা তা কঠোরভাবে নির্ণয় করা হবে। আজ সোমবার থেকে সামান্যতম কোনো ছয় দেয়া হবে না।
এর আগে গত ২৬ মার্চ থেকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশব্যাপী চলছে অঘোষিত লকডাউন। সড়ক, ট্রেন, নৌযোগাযোগ বন্ধ করার পরেও সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করা যাচ্ছিলো না। ফলে সচেতন জনগণের পক্ষ থেকে কার্যকরি প্রদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠছিল।
এরই মধ্যে তিন থানা এলাকা থেকে প্রায় ১১ জন করোনা আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে।