স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘হকারা পত্রিকা বিলি করতে চায় কিন্তু মানুষ পত্রিকা নিতে চায়না। পত্রিকার সাথে ভাইরাস ঢুকতে পারে ঘরে, এ ভয়ে পত্রিকা নিতে চাচ্ছেনা কেউ।’
এমনটাই জানালেন নারায়ণগঞ্জের পত্রিকা বিক্রির এজেন্ট ও হকার নেতা মো. লিটন। শুধু লিটনই নয়, শহরের বেশ কয়েকজন এজেন্টওে হকারদের সাথে কথা হয় লাইভ নারায়ণগঞ্জের সাথে। তাদের আক্ষেপসহ অভিযোগ, করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সরকারি কর্মকর্তাসহ সাধারণ মানুষ নিতে চাচ্ছেনা পত্রিকা। সকলের চিন্তাধারণা পত্রিকার মাধ্যমে ঘরে প্রবেশ করতে পারে করোনা ভাইরাস। এতে হুমকির মুখে পরতে যাচ্ছে প্রিন্ট পত্রিকা প্রতিষ্ঠান, এজেন্ট ও হকাররা।
বুধবার (২৫ মার্চ) লাইভ নারায়ণগঞ্জের কাছে এমনই নানা সমস্যা তুলে ধরে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পত্রিকার এজেন্ট, হকার নেতা ও হকাররা।
পত্রিকার এজেন্ট ও হকার নেতা মো. লিটন বলেন, হকারা পত্রিকা বিলি করতে চায় কিন্তু মানুষ পত্রিকা নিতে চায়না। পত্রিকার সাথে ভাইরাস ঢুকতে পারে ঘরে, এ ভয়ে পত্রিকা নিতে চাচ্ছেনা কেউ। এছাড়াও হকারদের মাঝে মাক্স, হ্যান্ডগ্লাভস কিংবা পোশাক বিলি ব্যাপারে তিনি বলেন, এরকম কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। আর এসব ব্যবস্থা গ্রহনে সরকারী কর্মকর্তারা সহায়তা করবে কি, তারা নিজেরাই নিতে চাইছে না পত্রিকা।
পত্রিকার এজেন্ট ও হকার নেতা মো. রবি বলেন, করোনার আতঙ্কে আমাদের হকারদের বাসায়ই উঠতে দিচ্ছে না পত্রিকা দিতে। পত্রিকার প্রকাশকদের সাথে হকাররা বসে কথা বলে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারা প্রকাশ না করলে হকাররা পত্রিকা বিলি করবে না। আর প্রকাশ করলে বাসায় ঢুকতে না দিলে কিভাবে পত্রিকা বিলি করা হবে সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করা হবে।
হকার নেতা মো. সোহেল বলেন, পত্রিকা প্রকাশিত হলে আমাদের হকাররা তা বিলি করবে। আর না করলে বিলি করবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রকাশকরা কি করবে এখন এটা তাদের ভাবার বিষয়। হকারদের করোনা প্রতিরোধে সচেতন করতে আমি নিজ উদ্যোগে আজ হকারদের মাঝে মাক্স বিতরণ করেছি। কোন কমিটি কিংবা সংগঠন থেকে এখনো পর্যন্ত কেউ হকারদের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি।
হকার মো. স্বপন বলেন, পত্রিকা বিলি সময় অনেকে পত্রিকা নিতে অনীহা প্রকাশ করে করোনা ভাইরাসে ভয়ে। এক্ষেত্রে আমাদের কি আর করার। প্রকাশকরা প্রকাশ করলে আমাদের তো বিলি করতে বাসায় বাসায় যেতেই হবে। বাসায় গিয়ে পত্রিকা বিলি করার জন্য এখনো পর্যন্ত আমাদের কোন মাক্স, হ্যান্ডগ্লাভস কিংবা পোশাক দেওয়া হয়নি। যার কারণে অনেক সময় অনেকের বাসায় গেলে আগে হাত ধুয়ে তারপর পত্রিকা দিতে বলে।
হকার মো. তাজুল বলেন, করোনার কারণে প্রায় ২০% হকারদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। অধিকাংশ লোকজন বর্তমানে পত্রিকা না দেওয়ার কথা বলে দিয়েছে। পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আসলে তখন পত্রিকা দিতে বলছে। সংগঠন থেকে আমাদের হকারদের নিরাপত্তার জন্য কোন রকমের মাক্স, হ্যান্ডগ্লাভস কিংবা পোশাক দেওয়া হয়নি। যার কারণে অনেক সময় অনেকের বাসায় গেলে আগে হাত ধুয়ে তারপর পত্রিকা দিতে বাসায় উঠতে বলে ও হচ্ছে। এরকম অবস্থায় কতদিন পত্রিকা বিলি করতে পারবো তা সঠিক জানি না। এছাড়া সরকারি কোন প্রশাসন থেকে কোন রকমের সহায়তা আমরা পাচ্ছিনা।