নিজ ঘর থেকেই লাশ উদ্ধার তরুণের, পরিবারের দাবি, ‘স্ত্রীই ঘাতক’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নিজ ঘর থেকেই লাশ উদ্ধার করেছে সুজন মিয়া নামের ১৯ বছর বয়সী তরুণের। নিহতের পরিবারের দাবি, স্ত্রী কেয়া আক্তার হত্যা করেছে সুজন মিয়াকে। আর পুলিশ ধারণা করছেন, ‘এটি হত্যা নয়, আত্মহত্যা’।
শনিবার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের চৌধুরী বাড়ি মাঝিপাড়া এলাকায় সুজন মিয়ার নিজ বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এসময় লাশের পাশ থেকে গুমের ট্যাবলেটসহ নেশা জাতীয় ওষুধ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এদিকে সুজন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় থানায় স্ত্রী কেয়া আক্তারের নামে মামলা করতে গেলে সেই মামলা না নিয়ে থানা থেকে বেড় করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা। তবে পরিবারটির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছে পুলিশ।
নিহতের পিতা আবুল কালাম বলেন, সুজন কোন নেশা করত না। অথচ, মৃত্যুর সময় নিশা গ্রস্থ অবস্থা পাওয়া গেছে। আমাদের বিশ্বাস সুজনের স্ত্রী কেয়ার সাথে অন্য কারো সর্ম্পক রয়েছে। তাই কেয়া ঘুমের ট্যাবলেট প্রান করিয়ে হত্যা করেছে। কিন্তু পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে গিয়েছিলাম, তারা আমাদের উল্টো ‘লাথি মেরে ফেলে দিবো’ বলে তারিয়ে দিয়েছে।

তবে বিষয়টিকে অস্বীকার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরির্দশক (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ বলেন, আমার ধারণা এটা আত্মহত্যা। তবে এ ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলেই বাকিটা বলা যাবে। যদি হত্যা হয়, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আরএমও আসাদুজ্জামান বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলেই পুরোপুরি বলা যাবে। তবে গলায় রশি দিয়ে মৃতু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।