লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় কুরবানীর ইদকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ৩ টি পশুর হাট।
৩ টির মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন(এনসিসি) এলাকায় ২ টি এবং ইউনিয়ন পরিষদে বসছে ১ টি পশুর হাট।
এ বছর করোনা ভাইরাসের কারণে হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে দেশের সবত্রই।
কমসংখ্যক হাটেও ক্রেতা সমাগম না থাকায় বিপাকে বেপারীরা। অন্যদিকে, হাটে না গিয়ে অনলাইনে পশু কেনাকাটায় আগ্রহ সৃষ্টির ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
৩টি অস্থায়ী পশুর হাট হচ্ছে- এনসিসি ২৪ নং ওয়ার্ড নবীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন পশুর হাট, এনসিসি ২৭ নং ওয়ার্ড ফুলহর হাট ও কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ফরাজীকান্দা পশুর হাট।
তবে এবার বাদ পড়েছে প্রায় তিন যুগের প্রাচীণ চৌরাপাড়া ভাসমান ডকইয়ার্ড সংলগ্ন অস্থায়ী পশুর হাট। প্রাচীন এ হাটটি বাদ পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। একইসাথে বেশ দূরে দূরে হাট বসায় বন্দরবাসীর মধ্যেও রয়েচে ব্যাপক চিন্তার ছাপ।
হাট কমিয়ে আনার ব্যাপারে বন্দরবাসীর মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন হাট কমিয়ে আনায় করোনা সংক্রমণ বাড়বে। কেউ কেউ বলছেন কমবে।
ধামগড় এলাকার মহিউদ্দিন জানান, হাটের সংখ্যা কম বলে এলাকার মানুষ হাটগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। এতে স্বাস্থ্য বিধির লংঙ্গন হচ্ছে। এ জন্য অস্থায়ী পশুর হাট বাড়ানো দরকার ছিল। হাটের সংখ্যা বাড়লে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের উপস্থিতি কম হতো, সংক্রমনও কমতো।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুক্লা সরকার বলেন, করোনার কারণে এবার অস্থায়ী পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। এবার বন্দর উপজেলায় মাত্র একটি হাট বসেছে। দুটি বসেছে সিটি এলাকায়। এ ছাড়া অনলাইনে পশুর কেনাকাটার ব্যাপারে ক্রেতাদের উৎসাহিত করছি। এ ব্যাপারে ব্যাপক সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই অনলাইনে পশু কিনছেন । এতে করোনা সংক্রমণের আশংকা নেই।