লাইভ নারায়ণগঞ্জ: হকার ইস্যু কেবল একদেড় হাজার হকারের নয় বরং নারায়ণগঞ্জের পাঁচছয় লক্ষাধিক মানুষের স্বার্থ জড়িত। নিম্ন আয়ের, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ তাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্য সামগ্রীর চাহিদা মেটাতে এই হকারদের উপর নির্ভরশীল। মনে রাখতে হবে নারায়ণগঞ্জে শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের সংখ্যাই বেশী, এই মানুষগুলো যদি তাদের নির্দিষ্ট আয়ে জীবন নির্বাহ করতে ব্যর্থ হয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হন তবে বহু ছোট কলকারখানা এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে, ধ্বংশ হবে শিল্প উন্নয়নের স্বাভাবিক গতি। অতএব শিশুসুলভ আদিক্ষেতা বাদ দিয়ে হকার সমস্যার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করা এখন সময়ের দাবী।
শুক্রবার ( ৫ মার্চ ) বিকেলে বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি শ্রমিকনেতা সহিদুল আলম নাননু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভাতে ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা কমরেড আবু হাসান টিপু এসব কথা বলেন।
এনসিসি মেয়র আইভী উদ্দেশ্য করে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শীর্ষ এই নেতা বলেন, হকারদের ভদ্র ও গণতান্ত্রিক আচরণকে দূর্বলতা ভাববেননা, দিন এনে দিন খাওয়া এই মানুষগুলোকে আপনাদের দলীয় ও পারিবারিক দ্বদ্বের দাবার গুটি বানাবেন না। আপনার ভাতৃদয় ‘হকারদের পক্ষ নিয়েছিল’ বলে হকারদের বিরুদ্ধে গোঁয়ার্তুমি করে যুদ্ধ জারি রাখবেন এটা কোন রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পরেনা। ত্বকী হত্যার ঘটনা কেন্দ্র করে ওনাদের জনপ্রিয়তা যখন তলানিতে অথৈ সাগরে খড়কুটা আকড়ে বাচাঁর চেষ্টা করা নাবিকের মতো তারাও নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় হকার ইস্যুতে সরব হয়ে উঠেছিলেন মাত্র। এটা নারায়ণগঞ্জবাসী বোঝে। প্রকৃত অর্থে হকার ইস্যু তাদের কাছে একটি রাজনৈতিক এজেন্ডা মাত্র কেননা এখানে সিটি কর্পোরেশন হকারদের প্রতিপক্ষ। হকাররা মরল না বাচঁলো, তাদের জীবন জীবিকা রক্ষা হলো কি হলোনা এতে তাদের কিচ্ছু যায় আসেনা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি’র কাউন্সিল উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভাতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রমিকনেতা মাহমুদ হোসেন, শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক রাশিদা বেগম, শ্রমিকনেতা হাবিবুর রহমান আঙ্গুর, মোক্তার হোসেন, রোকসানা বেগম, আবুল হোসেন, আইয়ুব আলী, নাছির হোসেন প্রমূখ।