সিদ্ধিরগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সম্প্রতি এক যুবককে চোর আখ্যা দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনার পর আবারও বির্তকে জড়িয়েছেন নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয়দানকারী মনির। সিদ্ধিরগঞ্জের ওমরপুর এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান এর ছেলে মনির নিজেকে ট্যুরিস্ট পুলিশের ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরির্দশক দাবি করেন।
গত ১২ ডিসেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো বটতলা এলাকায় আনোয়ার নামের এক যুবককে ডেকে এনে হাত-পাঁ বেধে নির্যাতন করে ওই মনির। যদিও মনিরের দাবি ছিলো ‘দোকানের পিছন থেকে তার চুরি করেছিল আনোয়ার’। কিন্তু আনোয়ারের পরিবারের দাবি ছিলো, ‘পুলিশ পরিচয়দানকারী মৃত মান্নানের ছেলে মনির মাদক বিক্রি করে এমন কথা বলায় লোক মারফত আনোয়ারকে ডেকে নিয়ে হাত-পাঁ বেধে নির্যাতন করে’।
এবার, সেই এসআই মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সিদ্ধিরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ এর একটি জায়গা ভাড়া নিয়ে আর ছাড়তে চাচ্ছেন না। অনেকটা দখলের পায়ঁতারার মতো।
সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো বটতলা এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ এর একটি জায়গা ভাড়া নেন বছর খানেক আগে এসআই মনির। সেখানে সে গড়ে তোলেন একটি অটোরিক্সার গ্যারেজ। যে গ্যারেজে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছিলো মনির। ওই ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসী জায়গার মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ এর কাছে বিভিন্ন ভাবে নালিশ করতে থাকেন, গ্যারেজে ও ওই এলাকার আশে-পাশে মাদক ব্যবসা হয়। পরবর্তীতে জায়গার মালিক ভাড়াটিয়া মনিরকে জায়গাটি খালি করে দিতে বলেন।
জায়গাটির মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ এর দাবি, ‘পুলিশ পরিচয়ে নিজেকে ক্ষমতাধর প্রমানের চেস্টা করছেন মনির। তাকে কয়েক দফা জায়গা ছেড়ে দিতে বলায় ওনি তা করছেন না। তার থেকে নেয়া অগ্রিম ভাড়া বাবদ টাকা বুঝিয়ে দিতে চাচ্ছি, কিন্তু তা নিতে রাজি না হয়ে, উল্টে মোটা অংকের টাকা দাবি করছেন। মনির পুলিশ, তাই দাপট দেখাচ্ছেন আমার সাথে। আমি সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এবিষয়ে এসআই মনিরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘গ্যারেজ বানাতে আমার খরচ হয়েছে, সেই টাকা না দিলে আমি উঠবো না। তিন বছর আগে আমি কেন যাবো?’
আপনাদের মধ্যে চুক্তিতে তো এমন কিছু নেই। চুক্তি অনুযায়ি ৩ মাসের সময়ে নিজ দায়িত্বে নির্মিত স্থাপনা সরিয়ে ফেলার কথা রয়েছে, আপনি তাহলে জায়গা খালি করবেন না কেন? পাল্টা এমন প্রশ্নের কোন উত্তর এসআই মনির দিতে পারেনি।
এদিকে, মনিরের এমন কান্ডে, স্থানীয়রা বলছেন ‘এক দুই জনের জন্য পুলিশের ইমেজ ক্ষুন্ন হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া। মনিরদের বির্তকিত কর্মকান্ডের কারনে পুলিশ প্রশাসনের যেন কোন সুনাম নস্ট না হয়।’
বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মশিউর রহমান জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।
অন্যদিকে, যেহেতু ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মনির, তাই ওই বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি জানানোর পরামর্শ দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।