স্কুল তো খুলে দিল, কিন্তু পরিচালনা করবে কে: সেলিম ওসমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘স্কুলটি একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল। আর্থিকভাবে এটা চালাতে পারে নি বলে বন্ধ করে দিয়েছিল। বর্তমানে সরকার ‘শিক্ষা’কে গুরুত্ব সহকারে দেখছে। কীভাবে স্কুলটি পরিচালনা করা যায় এ বিষয়ে দেখবো। এর আগে ড্রেজার পরিদপ্তরের লিখিত সম্মতি পেয়ে জেলা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে স্কুলটি যারা পরিচালনা করছেন তাদের সাথে বসতে হবে।’
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ড্রেজার জুনিয়র হাই স্কুল পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন তিনি। ৩৩ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী ড্রেজার জুনিয়র হাইস্কুলটি আকস্মিক বন্ধ ঘোষণার পরে শিক্ষাজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছিল প্রায় ৩শ শিক্ষার্থীর। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ শিক্ষার্থীদের জন্যে ড্রেজারের কর্মচারীরা শিক্ষকদের উপস্থিতিতে স্কুলের তালা ভেঙে দেয়। শুরু হয় স্কুল কার্যক্রম। এ ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান।

ড্রেজার স্কুলটি পরিদর্শনের সময় তিনি আরো বলেন, ড্রেজার যদি আমাদের কাছে দায়িত্ব দেয় তাহলে ঐ দায়িত্বটি অবশ্যই লিখিত হতে হবে। আপাতত, মন্ত্রনালয় থেকে প্রেরিত চিঠির মাধ্যমে স্কুলটি খুলে দেয়া হয়েছে। তবে স্কুলটি কীভাবে পরিচালনা হবে, কারা পরিচালনা করবেন, এই জায়গাটি তারা বরাদ্দ করবেন কিনা এই ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য আসে নি। আমি ও জেলা প্রশাসন একত্রিত হয়ে যারা স্কুলটি পরিচালনা করছেন তাদের সাথে জয়েন্ট মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিব। সম্মতি হলেই স্কুলটি পরিচালনা করা যাবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফজলুল হক রুমন রেজা, জেলা শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহিন্দ্র কুমার মন্ডল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুরাইয়া আশরাফি, ড্রেজার দপ্তার সিবিএ সভাপতি সিরাজুল হক, জেলা ড্রেজার বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. শওকত আলী, এনসিসির কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্টু, কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, ড্রেজার জুনিয়র হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষক পারভীন আক্তার মালা প্রমুখ।