আড়াইহাজার করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারয়ণগঞ্জ: আড়াইহাজারে আওয়ামীলীগের আনন্দ মিছিলকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে বাকবিন্ডা ও পরে বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে অন্তত ৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের নরিন্দী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করে।
ফলা ঘোষণার পর স্থানীয় নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগ নেতা আজাদ খান সোহাগকে কাধে করে আনন্দ মিছিল বের করে। এ ঘটনায় আওয়ামীলীগের অপর একটি পক্ষ যুবলীগ নেতা দাউদ,ছাত্রলীগ নেতা ও সরকারী সফর আলী কলেজের সাবেক জিএস আলামিনের নেতৃত্বে মনির, মাসুদ, উজ্জলসহ তাদের লোকজন নৌকা প্রতিকের সমর্থক জহির আলম ও মাহমুদুল্লাহকে পিটিয়ে আহত করে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। দুপুরে পুলিশ,বিজিবি ও র্যাব গিয়ে উভয় পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
সোমবার রাত ৭টার দিকে দাউদ ও আলামিন পক্ষের কয়েকশ লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সুলপান্দি গ্রামে হামলা চালায়। তারা ঐ গ্রামের মামুন, উজ্জ্বল, রুবেল, জিন্নত আলী, জহিরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও হাফেজ মোল্লার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির দেয়াল,টিনসেট দালান,টিনের ঘর,সোকেস,ষ্টিলের আলমারী সহ আসবাবপত্র ভাংচুর চালায় এবং মালামাল লুক করে নিয়ে যায়। বৃদ্ধা আছমা বেগম জানান,সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢুকে মহিলাদের গায়ে থাকা স্বর্ণের অলংকার সহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
তাদের বাঁধা দিতে গিয়ে মামুন(২৫),উজ্জ্বল(২৫),রুবেল(২০),আছমা(২৪) ও রাজিয়া বেগম(৬৫) আহত হয়েছে। বাকীরা বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্ম রক্ষা করেছে বলে জানান।
হাফেজ মোল্লা অভিযোগ করে জানান, আওয়ামীলীগ নেতা আজাদ খান সোহাগকে নিয়ে আনন্দ মিছিল করার কারনে ক্ষুব্দ হয়ে তাদের বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়েছে।
সাবেক জিএস আলামিনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে দাউদ তাদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,বরং জহিরুল তাদের লোকজনকে পিটিয়ে আহত করেছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। তবে এ পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষই অভিযোগ দেয়নি।