কোন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্থ হলে না.গঞ্জ স্তব্ধ হবে: সেলিম ওসমান

লাইভ নারায়ণগঞ্জ : দেশে ফিরেই ব্যবসায়ীদের সাম্প্রতিক বিক্ষোভের প্রতি সম্মতি জানিয়েছেন সাংসদ সেলিম ওসমান। রোববার (৭ এপ্রিল) রাতে চাষাড়া রাইফেল ক্লাবে স্নান উৎসব উপলক্ষে মত বিনিময় সভায় ব্ক্তব্য রাখেন।

এসময় জনপ্রিয় এই সাংসদ বলেন, আপনারা প্রাণ ভরে হাসবেন। ডায়াবেটিস থাকবে না, হার্টের রোগ থাকবে না। হাসার ব্যবস্থা করেন। হাসতে চাই, আতঙ্ক না। রাস্তাঘাট বন্ধ না। যদি রাস্তাঘাট বন্ধ করতে হয় তাহলে আমি আপনাদের সামনে কথা দিয়ে গেলাম। আমার কোনো ব্যবসায়ীকে যদি কোনো রকম ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়, উনি যেই হোন কেন এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েও যদি নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে নারায়ণগঞ্জ স্তবব্ধ হয়ে যাবে।

মহাতীর্থ লাঙ্গনবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি সরশ কুমার সাহা এতে সভাপতিত্ব করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ পুণ্যস্নান উদযাপন কমিটির সভাপতি সরোজ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুজিত সাহা, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবু জাহের, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন, যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক উত্তম সাহা প্রমূখ।

সাংসদ সেলিম ওসমান বলেন, আমিই এই নারায়ণগঞ্জে সাদা পতাকা উড়িয়ে হরতালমুক্ত করেছি। প্রয়োজনে লাল পতাকা আবারও উঠাবো। তবুও আমার মা-বোন নিশ্চিন্তে রাস্তাঘাটে চলতে হবে। আমার ব্যবসায়ীরা নিশ্চিন্তে কাজ করতে হবে। কোনো এলান ফান্ডে যেন টাকা দিতে না হয় তার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন, বিকেএমই, সরকারি সবগুলো অনুষ্ঠান করেছি। আমরা ছোট করে করবো তবুও যেন আমার ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্থ করা না হয়।

তিনি বলেন, বহুত দেখলাম সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে। অন্য ডিস্ট্রিক আর নারায়ণগঞ্জ এক না। কখনই এক হতে পারে না। আমি দেখাইছি, যে সরকারের দল নারায়ণগঞ্জ থেকে জন্ম নিয়েছে। এ নারায়ণগঞ্জ থেকেই সূচনা। ইতিহাস ঘাটেন। বিকৃত করবেন না। জিয়াউর রহমানও পারে নাই। ইতিহাস বিকৃত করা যায় না। প্রেম আর ধোয়া কখনো চেপে রাখতে পারবেন না। ও বেরিয়েই আসবে। আমরা শুধু ভয় পাই। এই ভয়ে পাড়বেন না। আপনারা সবাইরে সবাইকে জাগ্রত করবেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে সেলিম ওসমান বলেন, আমার সাংবাদিক ভাইয়েরা এখানে আছেন, অমি কোনো হুমকি দিই নাই। যদি আপনারা বিকৃত করেন, যে আমি বন্ধ করে দেব- এই শব্দটা আমাদের ঘরের মধ্যের শব্দ। যদি আমরা চড় খাই- একটা খাইতে পরি, দুইটা খাইতে পারি, যদি আমার গায়ে শক্তি থাকে তাইলে একটা ঘুষি আমি মারতেই পারি। সুতরাং আমারে চড় মারার চেষ্টাও কইরেন না। আর এই ঘুষাঘুষি যাতে না হয়।