স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জে সুজন মিয়া (১৯) নামে লাশ উদ্ধারের ঘটনায়, স্ত্রী কেয়া আক্তার ও তার মা বাড়ি থেকে পলাতক আছে বলে অভিযোগ এনেছে নিহতের পিতা আবুল কালাম।
রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে সুজন মিয়ার স্ত্রী কেয়া আক্তার (১৬) ও তার মা আমেনা বেগম বাড়ী থেকে পলাতক হন বলে জানান তিনি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার চৌধুরী বাড়ির মাঝি পাড়ার আলী হোসেনের মেয়ে কেয়া আক্তার।
এর আগে, শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) একই এলাকার নিজ বাড়ী থেকে সুজন মিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের পিতা আবুল কালাম বলেন, আমি আজ সকালে এলাকাবাসির মাধ্যমে জানতে পারি, আমার ছেলের স্ত্রী ও শাশুরী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আমার ধারণা সুজনকে ঘুমের ঔষধ পান করিয়েছে ছেলের স্ত্রী ও তার শাশুরী। পরে তাকে গলা টিপে হত্যা করে। ঘটনার পরপরই তারা দুজন মিলে আমার ছেলের মরদেহটি ঝুলিয়ে রাখে, যাতে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে পাড়ে।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মামলা বলতেই টাকা। আমি গার্মেন্টসে কাজ করি। মামলায় লড়াই করার মত আমার এত টাকা নেই। আর মামলা মানেই আমি দশ দিব তারা বিশ দিবে।
এদিকে নিহতের বন্ধু আনোয়ার বলেন, আমার বন্ধু সুজন আত্ম হত্যা করার মত ছেলে নয়। তার স্ত্রীর আরেকটি ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে। হয়ত সেই ছেলেটাকে পাওয়ার জন্য সুজনকে তারা হত্যা করেছে। আমরা এই ঘটনার বিচারের দাবি জানাই।