চক্রান্তের অভিযোগ, প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর দারস্ত হবে ব্যবসায়ীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: কাউকে বলা হচ্ছে চা খেয়ে যান, কাউকে আবার সহযোগীতা করার জন্য আহ্বান করা হচ্ছে; এমন পরিস্থিতিতে আজ নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা সংঙ্কিত। আমরা এই সঙ্কা থেকে মুক্তি চাই, প্রশাসন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই। তাই আগামী রোববার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি দেওয়া হবে। এতেও যদি কাজ না হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর দারস্ত হবো।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকালে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের ভবনে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় এ ঘোষণাদেন ব্যবসায়ীরা। এর আগে ব্যবসায়ী তানভীর আহমেদ টিটু ও নাজমুল আলম সজলকে নিয়ে ৯টি জাতীয় ভিত্তিক ও ৩৩টি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের আলোচনার বৃত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রতিবাদ সভা থেকে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল লিখিত বক্তব্যে বলেন, ব্যবসায়ীদের হয়রানী করতে একটি চক্রান্ত শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বিভিন্ন কৌশলে ঝামেলায় ফেলে আর্থিক ফায়দা লোটার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এতে একদিকে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, অন্যদিকে সামাজিক ভাবে হচ্ছে সম্মানহানী। পরিবারের কাছেও লজ্জা পেতে হচ্ছে, সন্তানের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পাচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের কোন ব্যবসায়ী কোনদিন কাউকে চাঁদা দেয় না। আমরা চাঁদা মুক্ত ব্যবসা করি। কিন্তু সম্প্রতিক সময়ে এক ধরণের ট্রেডিশন চালু হয়েছে, কাউকে বলা হচ্ছে চা খেয়ে যান, কাউকে আবার সহযোগীতার জন্য আহ্বান করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ নারায়ণগঞ্জবাসী সংঙ্কিত। আমরা এই সঙ্কা থেকে মুক্তি চাই, প্রশাসন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।


ইতোমধ্যে আমার লাক্ষ করেছি গত ১ এপ্রিল ফতুল্লার পাগলা মেরিএ্যান্ডারসন থেকে ৬৮ জনকে বিপুল পরিমান মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই আমারা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানাই। তবে অত্যান্ত দু:খ নিয়ে বলতে হচ্ছে, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ চেম্বারের ৩ বারের পরিচালক তানবীর আহম্মেদ টিটুকে ওই মাদক ব্যবসার সাথে জড়াচ্ছে। এর আগে আমাদের আরো একজন ব্যবসায়ী নাজমুল আলম সজলকে শিশু অপহরণ মামলায় ঝড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যা এখনো অবেহত রয়েছে। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিতে আসার সাথে সাথেই ব্যবসায়ীদের ঐক্যেবদ্ধ করতে আজকের এই প্রতিবাদ সভা।

আজকের প্রতিবাদ সভা থেকে সবার কাছে আমার এই আহ্বান ‘যেহেতু আজ সবে মেরাজ, কাল বৃহস্পতিবার। শুক্র ও শনিবার বন্ধ। তাই আগামী রোববার আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারক লিপি দিবো। আপনার সকলেই ১১টার সময় এই চেম্বারে থাকবেন। পরবর্তীতেও যদি হয়রানি মৌলক কার্যক্রম বন্ধ না হয়। তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দারস্ত হবো। আমরা আসা করছে স্মরক লিপির মাধ্যমে সকল প্রকার হয়রানি-ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবে।

এর আগে আমরা যে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ছিলাম, সেটা আগামী রোববার দিন পর্যন্ত স্থানান্ত করা হয়েছে। আমরা ২৪ ঘন্টার পরেও যে কঠোর কোন সিদ্ধান্ত নিলাম না, এটা শুধু মাত্র আমাদের ব্যবসায়ীদের স্বার্থে। কারণ ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হলে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হবে, কারণ এই ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ২০৪১ সালের অর্থনৈতিক মুক্তির যুদ্ধা।

৯টি জাতীয় ভিত্তিক ও ৩৩টি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।