চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৪

সিদ্ধিরগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জে শিমরাইল মোড় (চিটাগাংরোড) এলাকার হাজ্বী রজ্জব আলী সুপার মার্কেটে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১ সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতরা হলো মৃত আব্দুর রশিদ খাঁনের ছেলে লিয়াকত হোসেন খাঁন রনি (৫৬), ছমির উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া (৪৫), মৃত আব্দুল হালিম মোল্লার ছেলে মোঃ মাজিদুল ইসলাম (৪৩) ও মৃত তারা মিয়ার ছেলে মোঃ আফছার উদ্দিন সেলিম (২৮)। ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসিমউদ্দীন চৌধুরীর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত প্রায় একবছর ধরে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর নামের আড়ালে এই প্রতারক চক্রটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে বিভিন্ন পদে চাকুরীর বিজ্ঞাপন দিয়ে শতশত তরুণ-তরুণী ও ছাত্র-ছাত্রীদের ফুল টাইম-পার্ট টাইম চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিশাল অংকের টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। এই প্রতারক চক্রটি ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে চাকুরী প্রত্যাশীদের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রেশন ফি হিসেবে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫’শ ২০ টাকা করে হাতিয়ে নিতো। পরে চাকুরীর নিশ্চয়তা ও বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ১০-২০ হাজার টাকা নিয়ে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে পলিসি খুলতে বাধ্য করত। ইউনিট ম্যানেজার, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, এ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার প্রভৃতি পদে ১৮ হাজার ৫’শ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ইন্স্যুরেন্স খুলতে প্রলুব্ধ করত। চাকুরী পাওয়ার পর মাসের পর মাস অফিসে আসা যাওয়া করে বেতন না পেয়ে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে অনেকে প্রদেয় টাকা ফেরত চাইলে তাদেরকে ভয়-ভীতি ও হুমকি এমনকি মারধরও করত।
র‌্যাব আরো জানায়, বেশ কয়েকজন ভূক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে র‌্যাব-১১ সদস্যরা চিটাগাংরোড এলাকায় হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেটে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা মোঃ মনিরুজ্জান সহ লিয়াকত হোসেন রনি, মাজিদুল ইসলাম ও আফসার উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের নিকট হতে ভুয়া চাকুরীর বিজ্ঞাপন, ভূক্তভোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের রশিদ, চাকুরী প্রার্থীদের নিবন্ধন ফরম ও মোবাইল জব্দ করা হয়। প্রতারক চক্রের বাকী সদস্যদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানায় র‌্যাব।