টিটু ইস্যুতে সাবেক জাতীয় ক্রিকেটারদের বিবৃতি `আমরা স্তম্ভিত’

ক্রীড়া ডেস্ক, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়ামোদী তানভীর আহমেদ টিটু কে জড়িয়ে যে মিথ্যা, বানোয়াট ও নোংরা সংবাদ পরিবেশনা করা হয়েছে তা সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় বৃন্দ ক্রীড়া সংগঠক তানভীর আহমেদ টিটুকে জড়িয়ে এই ধরণের নোংরা একটি অপচেষ্ঠা দেখে যারপরনাই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি।

শুক্রবার (৫মার্চ) এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। সাবেক খেলোয়াড় মিজানুর রহমান মিজান এ বিবৃতিটি তার ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্ট করেছেন। সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ (সাবেক অধিনায়ক), এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় (সাবেক অধিনায়ক), আকরাম খান (সাবেক অধিনায়ক), খালেদ মাহমুদ সুজন (সাবেক অধিনায়ক), খালেদ মাসুদ পাইলট (সাবেক অধিনায়ক), হাবিবুল বাসার সুমন (সাবেক অধিনায়ক), আতহার আলী খান (সাবেক খেলোয়াড়), শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ (সাবেক খেলোয়াড়) এবং জাহাঙ্গীর আলম (সাবেক খেলোয়াড়) এর পক্ষে ওই বিবৃতিটি প্রকাশ করেন।

মিজানুর রহমান মিজান লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানিয়েছেন, সবার সাথে কথা বলেই তিনি বিবৃতি দিয়েছেন। সবাই একত্রিত হয়ে টিটুকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা জানিয়েছেন। এবং বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

বিবৃতিতে দাবি আরো জানানো হয়, আমরা টিটুকে বিগত ১৫/২০ বছর ধরে চিনি। দীর্ঘ এই সময়ে আমরা কখনো তাকে মাদকতো দূরে থাক, সিগারেট ও স্পর্শ করতে দেখিনি। সে অসম্ভব ক্রীড়ামোদী একজন মানুষ। তানভীর আহমেদ টিটু নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ২ বারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন এর সভাপতি। সর্বোপরি তিনি ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি এবং ঐতিহ্যবাহি নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের ২ বারের বিপুল ভোট এ নির্বাচিত অত্যন্ত জনপ্রিয় সভাপতি। শুধু দেশেই নয় সে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের টিম নিয়েও প্রতিবছর ইংল্যান্ড, থাইল্যান্ড টুর্নামেন্ট এ অংশগ্রহণ করেন।

আমরা জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড়বৃন্দ তানভীর আহমেদ টিটুকে নিয়ে এ ধরণের মিথ্যা, বানোয়াট, ও নোংরা ষড়যন্ত্র এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং যারা এর পিছনে জড়িত তাদের সবাইকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার অনুরোধ করছি। কারণ এই ধরণের একজন মানুষকে এইভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা আমাদের ক্রীড়া অঙ্গনের জন্য হুমকি স্বরূপ। আমরা এই ব্যাপারটার জন্য আমাদের ক্রীড়া বান্ধব মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

প্রসঙ্গত, ১ এপ্রিল রাতে মেরী এন্ডারসনে ফতুল্লা থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৬৮ জনকে গ্রেফতারসহ বিপুল সংখ্যক মদ ও বিয়ার উদ্ধার করে। পরদিন এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। এখানে জানানো হয় সঞ্জয় রায় মেরী এন্ডারসনের মালিক এবং তানভীর আহম্মেদ টিটুর সহযোগিতায় মাদক ব্যবসা করা হয়। এখানে মাদক মজুদ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে তা সরবারহ করা হয়ে থাকে।