তরমুজে সয়লাব চাড়ারগোপ: পাইকারিতে ক্ষতি, খুচরায় লাভ দ্বিগুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: তরমুজে জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের অন্যতম পাইকারি বাজার চাড়ারগোপ ফলের আড়ৎ। যা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি সরবরাহ করা হচ্ছে নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জসহ আরও বহু জায়গায়। নদী ও সড়ক উভয় পথেই তরমুজ আসে এই বাজারে। ব্যবসায়ীরা বলছে, ‘সরবরাহ ঠিক থাকলেও, সব সময়ের তুলনায় বেচাকেনা কিছুটা কম। তা, দাম কিছুটা কম থাকায় বাজার সহনশীল অবস্থায় আছে।

মঙ্গলবার সারজমিনে দেখা যায়, ট্রলার যোগে বরিশাল, ভোলাসহ দেশের বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে তরমুজ আসছে কালির বাজারের এই আড়তে। তরমুজে সয়লাব শীতলক্ষ্যা তীরের এই পাইকারি বাজার। ক্রেতাদের হাঁকডাকে জমে উঠছে বেচাকেনা। গরম ও রমজান কেন্দ্র করে বেড়েছে মৌসুমি এই ফলের চাহিদা। বিভিন্ন আকার অনুযায়ী প্রতি পিস তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৩শ’ টাকা পর্যন্ত।

আড়ত সংশ্লিষ্টরা জানান, এই আড়তে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি তরমুজ কেনাবেচা হচ্ছে। পাইকারি কিনে স্থানীয় বাজারসহ রূপগঞ্জ, সোনরাগাঁ আড়াইহাজার, বন্দর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ ও বিভিন্ন জেলার বাজারে বিক্রি করেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

আড়তদার মো. আসাদুজ্জামান টুটুল বলেন, আড়তে দৈনিক ১৫-২০ হাজার তরমুজ বেচাকেনা হচ্ছে। বর্তমানে পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতারা লাভ করতে পারছে। এখন ফলের মৌসুম থাকার কারনে কেজি দরে বিক্রির কোন সুযোগ নেই। অন্যান্য জায়গায় কেজি দরে বিক্রি হলেও নারায়ণগঞ্জে কেজি দরে বিক্রি হয় না। মাঝারি আকারের একটি তরমুজের দাম ১৫০-১৭০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এখান থেকে তরমুজ কিনে অনেকে বেশি দামে বিক্রি করছে। তবে, আমাদের যে পাকাইর ব্যবসায়ীরা আছে তারা বেশি লাভ করতে পারছে না। তাদের লাভ সীমিত।’

পাইকারি বিক্রেতা মামুন বলেন, ‘সকাল ৬-৭টা থেকে বেচা-কেনা শুরু হয়ে চলে বেলা ১১-১২টা পর্যন্ত। আবার দুপুর ২টা থেকে রাত পর্যন্ত বেচাকেনা হয়। গতকালের তুলনায় দামটা একটু কম হলেও বেচাকেনা কম। তবে খুচরা পর্যায়ে বিক্রিও বেশি লাভও বেশি।’

এদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি পিস তরমুজে বেড়েছে ২০-১০০ টাকা পর্যন্ত। পাইকারি বাজার থেকে কেনা তরমুজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। চাড়ার গোপ আড়তে যে তরমুজ (মাঝারি) ২০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে সেটা দুইনং গেট এলাকায় বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা করে। কেউ কেউ চাইছেন আরও বেশি।

বিষয়টি জানতে চাইলে, খুচরা ফল বিক্রেতা মো. শামিম বলেন, ‘আসলে বর্তমানে তরমুজের চাহিদাটা অনেক তাই দামটাও একটু বেশি। কিছুদিনের মধ্যে এই দাম আরও কমে যাবে।’

ক্রেতারা বলছে, ‘তরমুজের মৌসুম চললেও দামটা বেশি। লাভটা একটু কম করে, সকলে কিনতে পারে এমন দামে বিক্রি করলে সবাই খেতে পারবে।’