স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: দুই কারণে তিতাস লাভের মুখ দেখছে না; এমনটাই দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ নাগরীক কমিটি। সংগঠনটির মতে, দূর্নীতিগ্রস্থ তিতাসের কর্মকর্তাদের চাকুরীচুক্ত ও অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধ না করে মূল্য ৫০ গুণ বৃদ্ধি করলেও লাভের মুখ দেখবে না।
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে প্রস্তাবিত গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ কথা বলেন কমিটির সভাপতি এবি সিদ্দিক। তার দাবি, সাড়া দেশের মতোই নারায়ণগঞ্জের অনেক অসাধু কর্মকর্তারা অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এড.এ.বি.সিদিক এর সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক মো. আসাদুল হক সরকার এর পরিচালনায় মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিউর রাব্বী, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ হাজী আবদুল হাই, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন মোল্লা, আজীবন সদস্য এড. আহসানুল করিম চৌধুরী বাবুল, কাযকরী সদস্য মো.জামাল উদ্দীন, মো. হানিফ টিটু, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, বাংলাদেশের ওয়ারকাস পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক হীমা়ংশু সাহা, ন্যাপ নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন , বাসদ এর অন্যতম সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটি বন্দর থানা শাখার সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক ও ফতুল্লা থানা শাখার সভাপতি এড. মোঃসিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
এবি সিদ্দিক বলেন, সাড়া দেশে অন্তত ২০ থেকে ২৫ লাখ গ্যাস সংযোগ অবৈধ। আমাদের নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি উপজেলার লাইনও অবৈধ রয়েছে। এ সব অবৈধ গ্যাস সংযোগ থেকে প্রতিমাসে সরকারের কোষাক্ষারে টাকা জমা দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সেই টাকা সরকার পায় না। আর ওই টাকা পূরণ করার জন্যই প্রস্তাবিত গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি। দেশবাসীকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে গ্যাসের অনুসন্ধান কাজ করতে হবে।
এদিকে রফিউর রাব্বি বলেন, শুনানী অর্থটা হচ্ছে, বাদী-বিবাদী পক্ষ উভয়ের আলোচনার মধ্যে দিয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া। আর গণশুনানীর মানে হচ্ছে, শুনানীর মধ্যে জনগণ অংশগ্রহণ করবে। অথচ, আমরা সরকারের গণশুনানীর যে চিত্র দেখি, সরকার আগে রায় লেখে রাখে। তারপর সে শুনানীর আয়োজন করে। এখানেও সেটাই হয়েছে।