নরমাল ডেলিভারিতে মা ও শিশু মৃত্যুর ঝুকি কম: ব্রজ গোপাল

বন্দর করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বন্দর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর আয়োজিত ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সার্বক্ষনিক প্রসব সেবা দানের অবহিত করণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বন্দর উপজেলা কনফারেন্স সেন্টারে সকাল থেকে দিন ব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় স্বাস্থ্য সেবাদানকারী স্বাস্থ্যকর্মী. এনজিও কর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা অংশ গ্রহণ করেন। বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ব্রজ গোপাল ভৌমিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ পরিচালক ডা. তৃপ্তিরানী, উপ পরিচালক বশির উদ্দিন, উপ পরিচালক ইফতেখার, নারায়ণগঞ্জের উপ সচিব মোখলেসুর রহমান, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান¡ আতাউর রহমান মুকুল।

বন্দর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহ্ মো: নূরের উপস্থাপনায় কর্মশালায় অনান্য অতিথি ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা, মুহাম্মদ আব্দুল কাদের, উপজেলা মাদ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ.ক.ম নুরুল আমিন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সোহাগ হোসেন। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মেডিক্যাল অফিসার ডা. অমল চন্দ্র দাস। সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্দর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি কবির হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সদস্য জিএম সুমন, শাহ জামাল প্রমুখ।

প্রধান অতিথি ব্রজ গোপাল ভৌমিক বলেন, সুস্থ্য ও স্বাভাবিক প্রসব করানো আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এতে করে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমে আসবে। আমাদের মায়েরা যাতে নরমাল ডেরিভারী করাতে পারে সেদিকে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নরমাল ডেলিভারির ফলে শিশু যেমন সম্পূর্ণ মৃত্যুর ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকে এবং স্বাস্থ্য খাতে অনেক ব্যায় কমে আসে। আমাদের অর্থের কোন অভাব নেই। সরকার নরমাল ডেলিভারী করানো জন্য বিনা মূল্যে মায়েদের সকল চিকিৎসা সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এ জন্য মায়েদের বুঝাতে হবে যাতে সিজারিয়ান পরিত্যাগ করে নরমাল ডেলিভারীর দিকে এগিয়ে আসেন। তা হলে শিমুটি পর্যাপ্ত দুধ পাবে। সেই সাথে মায়ের দুধের ফলে শিশুটি অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাবে। আমরা মায়েদের পেট কাটা বন্ধ করার জন্য মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরী করেছি। জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে গুরুত্ব দিলে আমরা আগামী প্রজন্মকে রক্ষা ও মায়েদের নিরাপদ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারব। তিনি আরো বলেন, বতর্মানে দেশে কিছু ক্লিনিক রয়েছে যারা অদক্ষ দাই দ্বারা বা টাকার জন্য মায়েদের পেট কেটে অধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ সকল অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করা দরকার। সে জন্য সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। মায়েরা নিজের ও আগত সন্তানের স্বাস্থ্য নিরাপদ রাখার জন্য সরকারি সেবা কেন্দ্রের দিকে যোগাযোগ রাখেন তা হলে অবৈধ ক্লিনিকগুলি বন্ধ হয়ে যাবে। এ জন্য সকলের সহযোগিতা কাম্য। আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি অংশ গ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সবশেষে সভাপতি ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মশালা শেষ করেন।