স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঘঞ্জ: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘জ্বিন’। সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জও সিনেস্কোপে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। তারাই ধারাবাহিকতায় ‘জ্বিন’ সিনেমার টিম নারায়ণগঞ্জের দর্শকদের মাতাতে পরিদর্শন করেছে সিনেমা হল।
এদিকে, জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত এ সিনেমার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মত পূজা চেরির সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন চকলেট বয় সজল।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করেছে, আসছে ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পারে তারকা বহুল এ সিনেমাটি। সত্য ঘটনার আঁধারে ভৌতিক গল্পের এ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন নাদের চৌধুরী।
নারায়ণগঞ্জে সিনেমা হল পরিদর্শন করে ‘জ্বিন’ সিনেমার নাইকা পূজা চেরি বলেন, নারায়ণগঞ্জে দর্শকের সারা পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। আমরা সিনেমাটা নিয়ে খুব আশাবাদি। শুনলাম নারায়ণগঞ্জে টিকিট বিক্রি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। অনেকে মন খারাপ করে চলে যাচ্ছে কারণ তারা টিকিট পাচ্ছে না। এখনো পর্যন্ত চারদিকে জ্বীনের জয় জয়কার শোনা যাচ্ছে। জ্বীন দেখার পর দর্শকের মুখে যে হাসি দেখা যাচ্ছিলো, এটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। ভূতের ছবিতে ছোট বেলা থেকেই একটা ভালো লাগা আছে, আর সেই জায়গা থেকে যখন আমাকে অফার দেয়া হয় কাজ করার তখন আসলে ভিন্ন একটা অনুভূতি কাজ করেছে। ভালোভাবে অভিনয় করার চেষ্টা করেছি, দর্শকই আসলে সিদ্ধান্ত নিবে তাদের কাছে কেমন লেগেছে।
সিনেমার হিরো চকলেট বয় সজল বলেন, ঈদ দিন থেকে মানুষ এভাবে ভালো্বাসা দিবে আমাদের এটা কল্পনাও করতে পারিনি। এখনো পর্যন্ত আপনারা আমাদের যেমন ভালোবাসা দিচ্ছেন এটা আমাদের ‘জ্বীন’ পরিবারের জন্য বিশাল প্রাপ্তি।
সিনেমার অন্যতম অভিনেতা জিয়াউল রওশান বলেন, সিনেমার সফলতা যদি বলতে চাই, তাহলে বলবো। প্রতিদিন পরের দিনের টিকেট অগ্রিম কাটা হয়ে যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে তো আগামী ১ সপ্তাহের টিকেট বুকিং। এতেই বুঝা যায আসলে কতটুকু সফলতা পেয়েছি আমরা।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, আমাদের দেশে তামিলের মতো সিনেমা তৈরী করতে হলে তামিল সিনেমার মতো বাজেট দিতে হবে। তাই আমাদেরকে আমাদের মতো সিনেমা তৈরী করতে দেয়া উচিৎ। আমাদের দেশের সংস্কৃতি নিয়ে আমাদের সিনেমা তৈরী করতে হবে। আমাদের জ্বীন সিনেমাটি হলো মূলত আমাদের গল্প। আমাদের আসেপাশের গল্প। এখন অন্য সিনেমাকে কপি করে সিনেমা তৈরী করলে সেই সিনেমা এমনিও চলেবে না, এখন কপির দিন শেষ। ভারতীয় সিনেমায় আত্মা ভর করে কারণ সেটা তার দেশের কালচার, এই দেশে মানুষের তো সেটা চলবে না। এই দেশের সাথে মুসলমানের সাথে যেটা যায় সেটা হলো জ্বীন। আর মানুষ সেটাকেই গ্রহন করে নিবে। কোন মুসলমান যদি জ্বীন বিশ্বাস না করে তাহলে সে মুসলমান থাকবে না। কুরআন শরীফে জ্বীনের কথা উল্লেখ আছে।