না.গঞ্জে মৌন মানববন্ধন করে দুই ধর্ষিতার বিচার দাবী

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষণ এবং বন্দরে পৃথক ঘটনায় স্ত্রীর মর্যাদা প্রদান ও গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে ব্যতিক্রমভাবে বিচার দাবী করা হয়েছে। দুই ধর্ষিতা নারী একাই রাজপথে নেমে এসে মানবন্ধন করে সরকারের কাছে বিচার দাবী করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে ব্যানার হাতে নিয়ে ঘন্টাব্যাপী এ মৌন মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন তারা। এসময় তারা ধর্ষণের ঘটনার বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। আসামীদের দ্রুতি গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলত শাস্তির দাবী জানান দুই ধর্ষিতা নারী।

মামলার তথ্য বিবরণী থেকে জানা যায়, গত তিন মাস আগে রূপগঞ্জ উপজেলার চারিতালুক গ্রামের সোহাগ নামের এক যুবকের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় একই গ্রামের এক স্বামী পরিত্যক্তা নারীর সাথে। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে সোহাগ ওই নারীকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয় এবং তার সাথে দেখা করতে চায়। সেই প্রেক্ষিতে গত ৫ জানুয়ারী বেলা এগারোটার দিকে স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকে সাথে নিয়ে সোহাগের সাথে দেখা করেন। পরে সোহাগ তাকে এক নির্জন স্থানে নিয়ে মেয়ের সামনে জোর করে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারী বিয়ের কথা বললে সোহাগ তাকে ও তার মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনার পর ওই নারী গত ৭ ফেব্রুয়ারী রূপগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার খবর পেয়ে আসামী সোহাগ আগেই কৌশলে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় এসে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে ওই নারী অভিযোগ করেন।

এদিকে গত এক বছর আগে বন্দর উপজেলার উইলসন রোড এলাকার এক তরুণী ঢাকা থেকে বাসে চড়ে নারায়ণগঞ্জে ফিরছিলেন। বাসে একই এলাকার রতন নামের এক যুবকের সাথে তার পরিচয় হয়। পরে দুজনের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে রতন ওই তরুণীকে পার্কেসহ নানা জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যায়। পরে গত ৩১ ডিসেম্বর সেহাগ ওই তরুণীর বাসায় গিয়ে একা পেয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ডাক্তারি পরীক্ষা করে ওই তরুণী সন্তান সম্ভবা বলে জানতে পেরে রতনকে বিয়ের কথা বললে সে নানাভাবে টালবাহানা করতে থাকে। শেষমেষ ওই তরুণী বিষয়টি তার পরিবারের সাথে আলাপ আলোচনা করে সবার সম্মতি নিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারী বন্দর থানায় বাদি হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ আসামী সোহাগকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে সোহাগ জেলহাজতে আছে।