##সমাধানে একটু সময় লাগবে: অতি. জেলা প্রশাসক
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: মাহমুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৬২৭ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক মাত্র ৭ জন। ট্রেনিংয়ে রয়েছে ১ জন ও প্রায়ই বাহিরে যেত হয় ১জনকে। প্রাক-প্রাথমিকসহ ছয়টি শ্রেণীতে বিদ্যালয়ে পাঠদান করাতে হয় ৫ শিক্ষককেই।
মাহমুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতোই শিক্ষক সংকটে সদর উপজেলার রামারবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে এখানে শিক্ষক মাত্র ১২জন।
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত নির্দিষ্ট করা আছে ১: ৩০। যদিও দেশের বেশির ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ই সে লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশ পিছিয়ে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য বলছে, প্রাথমিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা ৫টি জেলার মধ্যে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ। জেলাটির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১: ৫৩।
তবে বাস্তবে এ চিত্র আরো ভয়াবহ। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৪ লাখ ২৪ হাজার ৭‘শ ৬১ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছে ৩ হাজার ৭‘শ ১৩ জন। এ হিসেবে জেলাটির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১: ১১৪।
প্রাথমিক শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিকে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রায় শতভাগে পৌঁছেছে। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রতি বছরই যুক্ত হচ্ছে নতুন বিদ্যালয়। তবে শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়লেও সে অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না পর্যাপ্তসংখ্যক শিক্ষক। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহীন্দ্র কুমার মন্ডল’র মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এদিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, সরকার শূন্য পদ গুলোও পূরন করার চেষ্টা করছে। নতুন পদ সৃষ্টির বিষয়টি জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া সরকারকে জানিয়েছেন। নতুন পদ সৃষ্টি যেহেতু বড় একটি ব্যাপার, তাই একটু সময় লাগবে। তবে আমার বিশ্বাস নতুন পদ সৃষ্টি হবে।