স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: আদালতে নির্যাতিতাদের পক্ষ নিয়ে লড়ছেন তিনি। অসংখ্যা ব্যক্তিকে পায়িয়ে দিচ্ছেন ন্যায় বিচারও; অথচ সেই প্রতিবাদি নারীই দিনের পর দিন নিজ ঘরেই হয়ে এসেছেন নির্যাতনের শিকার। হয়েছেন লাঞ্ছিত, হারিয়েছে অর্থ-সম্ভল।
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে এমনটাই অভিযোগ তুলে স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা মো. আবু নকীবসহ শশুর বাড়ির ৫ ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করেন জেলা জজ কোর্টের প্রসিকিউটর জাসমীন আহমেদ।
অভিযুক্ত আসামীরা হলেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের সার্কেল অফিসার মো. আবু নকীব (৪৫), মো. নাছের নিপুন (৩৫), জুবরিয়া বেগম (৬০), মো. আবু নোমান সজন (৫০) ও শিরিন আক্তার হিরা (৪৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সন্তান দানে অক্ষম জেনেও জাসমীন আহমেদের সাথে ২০০৭ সালের ১৪ মে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মো. নকীব। বিবাহের পর স্ত্রীর নিকট ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে অত্যাচার করতে থাকে স্বামী। নিজ বিবাহ-জীবন সুখে শান্তিতে কাটানোর জন্যে স্বামীকে ১২ লক্ষ টাকার ১টি প্রাইভেটকার, ১টি মটর সাইকেল এবং ঢাকায় জমি কেনার জন্য নগদ ৫০ লক্ষ টাকা দেন জাসমীন।
অন্যদিকে, স্ত্রীকে না জানিয়ে আরও ২টি বিবাহ করে নকীব। পরে জাসমীন আহমেদের খোঁজ-খবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়। ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর সাথে দেখা করে নকীব। তবে সে সময় স্ত্রীকে মারধর করে নগদ ৫ লক্ষ টাকা, ১০ ভরি ওজনের স্বর্ণালকার, দলিল ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট নিয়ে চলে যায় সে। যাওয়ার আগে স্ত্রীর কাছ থেকে আরো ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে।
এ দিকে মামলার তদন্তের জন্য প্রসিকিউটর জাসমীন আহমেদকে ৭ দিনের মধ্যে অভিযোগ সম্বলিত যথাযথ তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত।