নুসরাতের মায়ের আহাজারি ‘আমার মেয়েটাকে নিয়ো না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘আমার মেয়ের সাথে কেউ যায় না। কাপড় পড়িয়ে আমারে সাজিয়েদে, আমি আমার মেয়ের সাথে যাব। আমার মেয়ে আমাকে আর বাবা বলে ডাকবে না।’

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এভাবেই নিহত মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান আয়শার লাশের পাশে বসে কান্না করছিলেন বাবা সোহেল মিয়া।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের গলাচিপা এলাকার আউয়াল চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চাপায় মৃত্যু হয় নুসরাতের।

সোহল মিয়া স্ত্রী ও ৩ মেয়ে নিয়ে ২১৩/৭ গলাচিপা কলেজ রোড হাজ্বী দেলোয়ার হোসেনের বাসায় ভাড়া থাকেন। ৩ মেয়ের মধ্যে নুসরাত জাহান আয়শা ২য় ছিলেন। অপর ২ মেয়ে সুমাইয়া (১১) ও মরিয়ম (৪)। তিনি নগরীর ২নং রেলগেইট ফলের ব্যবসা করেন। পরে স্থানীয় মসজিদের সামনে আছরের নাজের পর জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। মাসদাইর কবরস্থানে নিহতর মরদেহ দাফন সম্পন্ন করা হয়।

মেয়ের মৃত্যুতে আহাজারি করে মা নুরজাহান বেগম বলছিলেন, ‘আল্লাহ আমার বুক খালি করে নুসরাতকে নিয়ে গেল। ওরে ছাড়া আমি কেমনে থাকবো। আমার মেয়ে টাকে অনেক আদর করতাম। আমি এখন কারে আদর করবো। তোমরা আমার মেয়েটাকে নিয়ো না।’

ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করায় হয়েছে। স্থানীয়রা অটোরিকশাটি আটক করে ভাঙচুর করলেও এর চালক পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।