পার্কসহ কোন প্রজেক্ট-ই শেষ হচ্ছে না, বাজেট বাড়ছেই: তৈমূর

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নগরীর কোন উন্নয়ন পরিপূর্ণ দৃশ্যমান হচ্ছে না। কোন পার্ক, লেক, কোন প্রজেক্ট-ই শেষ হচ্ছে না। প্রতি বছরই বাজেট বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিটি করপোরেশন কয়েকজন ঠিকাদারের কর্পোরেট সিন্ডিকেটে পরিনত হয়েছে। এতে নগরবাসীর কস্টের টাকা ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কর্পোরেট সিন্ডিকেট থেকে মানুষ মুক্তি চায়।

শনিবার (১ জানুয়ারি) হাতি মার্কায় মেয়র পদের প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার প্রচার-প্রচারনায় নেমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলনে।

সাংবাদিকদের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, যদির কথা নদীতে ফালায় দেন। আমি এখন দলের ক্যান্ডিডেট না। আমি জনগনের ক্যান্ডিডেট। আমি জনগনের দাবীতে প্রার্থী হয়েছি। ২০১১ সালে দলের সিদ্ধান্তে বসে যাই। ১৬ সালে দল নমিনেশন দেয়ার পরেও নির্বাচনে যাইনি। এবার আমি জনগনের সাথে বেইমানি করবো না।

তিনি বলেন, নগরবাসী এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তারা পরিবর্তন চায়। আগামী ১৬ জানুয়ারি আপনারা এর ফলাফল দেখবেন।

তিনি আরও বলেন, বিগত পঞ্চাশ বছরে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে আমার। আমি রাষ্ট্রীয় পরিবহনও পরিচালনা করেছি এবং তা লাভজনক অবস্থায় রেখেছি। আমার সময়ে সেবা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার ফোন নাম্বার বিআরটিসির ট্রাকে বাসের এমনকি দেয়ালে দিয়ে রেখেছি যাতে করে মানুষ অভিযোগ জানাতে পারে। এভাবে আমি বিষয়টা অবগত হয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। শ্রমিক মজুরদের সাথে আছি, অনেক শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছি। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জনগনের পালস আমি বুঝবো। কালীরবাজার জেলখানা থেকে ডিভিশন জেলখানা পর্যন্ত আছি ছিলাম। রিক্সা ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট থেকে রাষ্ট্রীয় পরিবহনের প্রেসিডেন্ট হয়েছি। আমি জনগনের পালস বুঝি এবং জনগনের কোন জিনিস আগে দরকার সেটা বুঝে কাজ করবো। তিনি বলেন, আমি যেখানে যাই সেখানে সকল স্তরের জনগন আমার পাশে দাড়ায়। আমার সাথে এত লোক এরা কারা, এরা তো বিএনপির লোকই। স্থানীয় নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপট আলাদা। বাংলাদেশের মানুষ স্থানীয় নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করতে অভ্যস্ত নয়। তারা প্রার্থীকে দেখে প্রতীক নয়। সরকার দলীয় প্রার্থী নিজেরই তো আস্থা নেই প্রতীকে।