লাইভ নারায়ণগঞ্জ: এজন্যই ক্রিকেটকে বলা হয় গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। শেষ ২৪ বলে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের দরকার ছিল ২৩ রান, হাতে ৫টি উইকেট। শেষ ওভারে যখন ১০ লাগে, তখনও উইকেটে আছেন সেট ব্যাটসম্যান উম্মুক্ত চাঁদ। এমন একটি ম্যাচ শেষ পর্যন্ত নাটকীয় এক টাই দেখলো। ফতুল্লায় শাইনপুকুরকে জিততে দিল না বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)।
লক্ষ্য ২২৩ রানের। শেষের ওভারগুলোই ম্যাচটা নাটকীয়ভাবে ঘুরিয়ে দিয়েছে। বিকেএসপির হাসান মুরাদ ৪৭তম ওভারে এসে দিলেন মাত্র ৪ রান, তুলে নিলেন ধীমান ঘোষের (১৪) উইকেট। শামিম হোসেনের পরের ওভারেও উঠলো মাত্র ৫।
৪৯তম ওভারের প্রথম বলে সোহরাওয়ার্দি শুভকে (২) আউট করলেন হাসান মুরাদ। ওই ওভারেও এলো মাত্র ৪ রান। তানজিম হাসান সাকিবের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ১০ দরকার ছিল শাইনপুকুরের। প্রথম চার বলে তারা ৭ রান তুলে ফেলে। কিন্তু আসল নাটকটা হয় শেষের দুই বলে। পঞ্চম বলে রানআউটের কবলে পড়েন দেলোয়ার হোসেন (৬), আসে এক রান।
শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। শরিফুল ইসলাম ছিলেন স্ট্রাইকে, তার সঙ্গে এক রান নিয়ে দুই নেয়ার চেষ্টা করতেই রানআউটের কবলে পড়েন উম্মুক্ত চাঁদ। ৮৭ বলে ২ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান করেন ৭৪ রান। শাইনপুকুর থামে ৯ উইকেটে ২২২ রানেই।
এর আগে ওপেনার প্রান্তিক নওরোজ নাবিল আর ছয় নাম্বারে নামা আবদুল কাইয়ুমের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২২২ রান তুলতে পেরেছিল বিকেএসপি। ১৩৯ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় নাবিল করেন ৮১ রান। ৬৬ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ৭০ করেন কাইয়ুম।
শাইনপুকুরের দেলোয়ার হোসেন ৩টি আর শরিফুল ইসলাম নেন ২টি উইকেট।