স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ১ এপ্রিল পরীক্ষা। রাত দিন জেগে তারই প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিলো আকায়েদের। অথচ, সেই ছেলেই এখন হাসপাতালের বেডে শুয়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে ।
রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়িত কন্ঠে ছেলের শরীরের বর্ণনা দিচ্ছেলেন আকায়েদের বাবা আব্দুর রাজ্জাক মিয়া।
এ সময় আহাজারি করতে করতে মা নাসিমা বেগম বলেন, আমার ছেলে আর বাঁচবে না। বাচঁবে না। ওই আজমত আর গিয়াসউদ্দিন লোকজন দিয়ে আমার ছেলের এই অবস্থা করছে।
এ সময় আহতদের স্বজনদের পক্ষে শিল্পপতি ও ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ওইদিনের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের স্বজন রামারবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি রাজ্জাক, আব্দুল গফুর, রওশন আরা, নাসিমা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করে বলেন, রামারবাগ এলাকার ঝুট ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই হামলা চালিয়েছে গিয়াসউদ্দিন ও আজমতের গ্রুপ। কুতুবপুর থেকে এসে তারা রামারবাগে হামলা চালায়। এ সময় নাজমুল, আকাইদ, আলামিন সহ অনেককে বেধরক মারধর করে। অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলাকাবাসীর উপর হামলা চালায় তারা। বিভিন্ন দোকানপাট ভাঙচুর সহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আমরা এর বিচার চাই। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই।
আব্দুল গফুর বলেন, আজমত বাহিনীর কেউ কেউ নিজেরাই নিজেদের আহত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য নাটক সাজিয়েছে। এটা ওসি সাহেব বুঝতে পেরে মামলা য়েনি। আমরা এখন নিরাপত্তা চাইছি। পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, রামারবাগ থেকে কোন লোক কুতুবপুর যায়নি। কুতুবপুর থেকে আজমত ও গিয়াসের লোকজন রামারবাগ এলাকায় আক্রমন করেছে। এ সময় কেউ কেউ হয়তো সেই আক্রমন ফিরিয়েছে। এটাকে পাল্টা আক্রমন বলা যায় না। তবে ফতুল্লা থানার ওসি মঞ্জুরুল কাদের সাহেব যদি সেখানে উপস্থিত না হতো তাহলে হয়তো লাশও পরতে পারবো। এসময় সাংসদ শামীম ওসমান সাহেবের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২২ মার্চ রামারবাগ এলাকায় দুই গ্রুপের সংর্ঘষে এলাকার অর্ধশত মানুষ আহত হয়। এদের মধ্যে ১৫ জন গুরুত্ব আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এঘটনায় আব্দুল গফুর বাদি হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৫৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।