স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সরকারী দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় প্রায় ১ কোটি টাকা মামলায় উল্লেখ করা হয়।
শনিবার (২৩মার্চ) দুপুরে সংঘর্ষে আহত আজিমের বাবা আব্দুল গফুর বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। এর আগে গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ফতুল্লার রামারবাগ মসজিদ এলাকায় সংঘর্ষে ১৫-২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
ওই মামলায় আসামী করা হয় আজমত আলী, কাইল্যা গেসু, মনির হোসেন মুরাদ, রাজিব, সজিব, জুয়েল, খন্দকার শাওন, জসিম, আশ্রাফ, ফয়সাল, রিপন, নাঈম, দেলোয়ার, শাকিল, হ্নদয়, শহিদ, ইমন, সোহেল, সানি, রাজু, তাহের আলী, সোলেয়মান, রহিম বাদশা, শামীম, ডালিমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০জনকে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকার কাইল্যা গেসু ও আজমত গ্রুপের সাথে রামারবাগ এলাকার স্পীটবোর্ড ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল গ্রপের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বাড়ির সামনে অবস্থান করাকালিন সময়ে সেই জের ধরে রামারবাগ এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে আজিম (৩২) আজমত-গেসুর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমন করতে থাকে। এসময় আজিমের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে বাঁধা দিতে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায়। একপর্যায়ে গেসু-আজমত বাহিনীর লোকজনের হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে বেশ কয়েকজনকে এলোপাথারী কুপাতে থাকে। গেসু-আজমত বাহিনীর হামলার শিকার হয়ে মোস্তফা কামাল গ্রপের লোকজন দৌড়ে গিয়ে দোকানের ভিতর প্রবেশ করলে তাদের হাতে থাকা লাঠিসেটা চাপাতি নিয়ে দিয়ে ঐ সব দোকান ও বাড়ি ঘর ভাঙচুর চালায়। এসময় চাউলের আড়ৎ, ক্যামিকেলের দোকান ভাঙচুর করে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। এছাড়া এলাকার সাধারণ লোকজনের শতাধিক বাড়ি ও দোকান ঘর ভাংচুর করা হয়। এদের মধ্যে গফুর মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব চালানো হয়। এ সংঘর্ষে আহত হয় আনুমানিক ১৫জন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতাল এবং নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একপক্ষের মামলা দায়ের হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।