বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ১১ দফা দাবি নিয়ে রাজপথে কেন্টাকি নীটের শ্রমিকরা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: প্যাপিলন বন্ধ কারখানা খুলে দাও, ২ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ১১ দফা দাবি মেনে নাও এবং কেন্টাকি নীট কম্পোজিট শ্রমিকদের চাকুরীতে পুনর্বহালের দাবিতে চাষাড়া শহীদ মিনারে প্যাপিলন নীট এপারেলস (প্রাঃ) লিঃ এবং কেন্টাকি নীট কম্পোজিট লিঃ এর শ্রমিকদের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। প্যাপিলন কারখানার শ্রমিক সাগরের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি এম.এ. মিল্টন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সহ-সভাপতি ও গাবতলী পুলিশ লাইন আঞ্চলিক শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম শরীফ, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত কবির, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সোহাগ, লাঙ্গলবন্দ আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, বিসিক শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইদুর, নারায়ণগঞ্জ জেলার দপ্তর সম্পাদক কামাল পারভেজ মিঠু, প্যাপিলন কারখানার শ্রমিক আনোয়ার, আল-আমীন, মাযহারুল, কাউসার, সোহানা প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৬ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে আজিবপুর সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত প্যাপিলন নীট এপ্যারেলস (প্রাঃ) লিঃ এর শ্রমিকেরা কারখানার মালিক বরাবর ১০ দফা দাবি দিয়েছিল। ২৩ জানুয়ারী ২০১৯ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে স্মারক লিপি প্রদান করে। কিন্তু মালিক কর্তৃপক্ষ উক্ত দাবি মেনে না নিয়ে শ্রমিকদের ২৮ মার্চ ২০১৯ তারিখে একটি অবৈধ নোটিশ জারী করে। যেখানে উল্লেখ থাকে যে ৩০-৩১ মার্চ ২০১৯ মোট ২দিন ছুটি ঘোষনা করে। শ্রমিকরা ১ লা এপ্রিল ২০১৯ সকাল বেলা কাজে যোগদানের জন্য কারখানা গেটে গেলে মালিক কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধের আরেকটি অবৈধ নোটিশ জারী করে। এখানে উল্লেখ থাকে জানুয়ারী মাসে ১০ দফা দাবী দেয়ার কারনে মালিক কর্তৃপক্ষ ১লা এপ্রিল ২০১৯ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষনা করে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন মোগরাপাড়া, সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত কেন্টাকি নীট কম্পোজিট লিঃ এর শ্রমিকদের গত ৩১/০৩/২০১৯ সারাদিন ডিউটি করিয়ে হাজিরা কার্ড না দিয়ে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষনা করে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই সমস্ত সংকটের অবিলম্বে সমাধানের জন্য মালিক কর্তৃপক্ষ, শিল্প পুলিশ, শ্রম অধিদপ্তর, বিকেএমইএ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় এ আন্দোলন সারা নারায়ণগঞ্জে ছড়িয়ে পড়বে। অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটলে সেক্ষেত্রে শ্রমিকদের কোন দায় দায়িত্ব থাকবেনা।