বেড়েছে চাল-আটার দাম, সবজির সরবরাহের সাথে মূল্যও বেশী

লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ২০১৮ সালকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের নিজেদের নতুনভাবে গোছাতে ব্যস্ত সকলেই। ব্যতিক্রম নয় বাজার-হাটগুলোতেও। নতুন বছরে নতুন নতুন সবজি নিয়ে কাঁচাবাজারগুলো এখন টইটুম্বুর।

তবে বাজারে সবজির যোগান পর্যাপ্ত থাকলেও মান এবং প্রকারভেদে বেড়েছে সবজির দাম। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ, মাংস ও ডিমের দাম। কিন্তু বেড়েছে চাল ও আটার দাম।

শুক্রবার (৪ জানুয়ারী) নারায়ণগঞ্জে বৃহত্তম কাঁচাবাচার দ্বিগুবাবু বাজার ঘুরে দেখা যায়, নতুন বছরে নতুন আলুর দাম ৫ টাকা বেড়ে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা করে। বেড়েছে ধুন্দুল,করলা, চিচিঙ্গা।

ধুন্দল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহে ছিলো ৩৫ টাকা কেজি। চিচিঙ্গা একটানে বেড়েছে ৭০ টাকা। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে। এছাড়া করলা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ।

তবে আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে ফুলকপি ১০-৪০ টাকা পিস, পাতাকপি ২০-৩০ টাকায়, বড় আকারের লাউ পাওয়া যাচ্ছে ২৫-৪০ টাকায়, কুমড়া আকারভেদে ৬০-১০০টাকা, ধনেপাতা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।

কাঁচা পেঁপে আগের মতই। তবে আকার ও মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, গাজর ৩০ টাকা, শসা ৪০ কেজি, শালগমে দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। গত সপ্তাহে ছিল ৩০থেকে ৩৫ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।

এছাড়া কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে উস্তা, বরবটি, কাঁচা কলা । এদিকে বাজারভেদে এক আঁটি পালং শাক বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ টাকা। লাল ও সবুজ শাক বিক্রি হচ্ছে ৫-১০ টাকা আঁটি। লাউশাক পাওয়া যাচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। ১০-২০ টাকা আঁটি পাওয়া যাচ্ছে পুঁইশাক।

আলু কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা আর পাল্লা প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ পাকা কেজি দরে। এদিকে স্থিতিশীল রয়েছে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা আর নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি । পাল্লাপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৫০ টাকা।

ক্রেতারা জানান, বাজারে সবজির অভাব নাই। কিন্তু কেনার লোক নাই।
কোন কোন ক্রেতা বলেন, কয়েকটা সবজির দোকান ঘুরে যা দাম শুনলাম তাতে বাজারের অবস্থা খুব বেশি ভালো না। এটা তো হবারই ছিলো। নির্বাচন শেষ। তারওপর নতুন বছর। এখন কতকিছু দেখবো। এটা কিছুই না।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছে অন্য কথা। তরা জানান, আসলে কী বাজারে সবজি থাকলেও অনেক সবজি যেমন ধরেন পটল, চিচিঙ্গা,লতি এগুলো কম। এখন স্বাভাবিকভাবেই যোগান যেটার কম দামতো একটু বেশি থাকবই।

এদিকে এ সপ্তাহেও বাড়তি রয়েছে বয়লার মুরগি, গরুর ও খাসির মাংস এবং মাছের দামও। বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা কেজি। গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বাড়তি রয়েছে ডিমের দামও। মুরগীর ডিম হালি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৩৬ টাকা আর ১’শ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা আর ১’শ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায়।

অন্যান্য সপ্তাহের মত নতুন বছরেও স্থিতিশীল রয়েছে মাছের বাজার। গত সপ্তাহের মত এ সপ্তাহেও প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকায়। আর পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৫০০ টাকায়। আর ছোট আকারের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা। এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা পিস।

প্রতি কেজি রুই মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৪০-৪০০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, আইল ৭০০-৮০০ টাকা, মেনি মাছ ৪৫০-৫০০, বেলে ৩৬০-৫০০ টাকা, বাইন ৪০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৫৫০-১০০০ টাকা, পুঁটি ৩০০ টাকা, পোয়া ৪০০-৬০০ টাকা, মলা ৩২০-৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৫০০ টাকা, শিং ৪০০-৮০০, দেশি মাগুর ৫০০-৭০০ টাকা, শোল ৫০০-৭০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০-২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া,পাঙ্গাস,পুঁটি মাছ পাওয়া যাচ্ছে ১২০-২০০ টাকা কেজি দরে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments