মশা মার‌তে কামান লাগা‌তে চাই না: শামীম ওসমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘আমরা সভা ডাকলে সমাবেশ হয়। আর সমাবেশ ডাকলে লাখো মানুষের জমায়েত হয়। সুতরাং মশা মার‌তে কামান লাগা‌তে চাই না। আপনারা শুধু ধৈর্য ধরেন।’

শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকালে ইসদাইর অক্টো অফিস সংলগ্ন বাংলা ভবন কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক জরুরী কর্মী একথা বলেন শামীম ওসমান।

‘নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী পরিবারকে ধংসের চক্রান্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও’ লেখা ব্যানারে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত আলী, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমানসহ নেতাকর্মীরা।

শামীম ওসমান বলেন, ‘আমরা সরকারী দল এটা মনে রাখতে হবে। আমরা আমাদের বাবা মায়ের পর সবচেয়ে বড় মানুষ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু। তিনি নাই তাই এখন আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশের উন্নয়ন সুশাসনের জন্য কাজ করছেন। আমাদের অনেকের বয়স তরুণ। তাদের রক্ত টগবগে। তারা দুইদিন ধরেই আমাদের খোকন সাহা ও বাদলকে নানা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন।’

প্রসঙ্গত, গেল কয়েকদিন ধরেই শহরজুড়ে আলোচনায় ‘সাংসদ শামীম ওসমানের সাথে জেলা পুলিশ সুপারের দূরত্ব’। এরমধ্যে সাংসদের স্নেহভাজন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামের নামে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন একই থানার ওসি (বিদায়ী) শাহ মঞ্জুর কাদের। এছাড়াও সাংসদের শ্যালক তানভীর আহম্মেদ টিটুকে মেরী এন্ডারসনে মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি তার আরেক ঘনিষ্ঠজন নাজমুল আলম সজলকে শিশু সাদমান সাকিকে অপহরণকারী হিসেবেও উল্লেখ করে সভা সমাবেশ হয়েছে নগরে। তাছাড়া সাংসদের ছেলের সম্বন্ধি বিকির নামে মামলা দায়ের। ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষে টিটু নাজমুল ইস্যুতে আল্টিমেটাম। সব মিলিয়ে গত কদিন ধরে বেশ উত্তাপ ছড়াচ্ছিলো শহরের পরিবেশ।