স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: কবি শায়েদ কায়েসের মায়াদ্বীপ পাঠশালার প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়ের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রফিউর রাব্বি, বাংলাদেশের কমিনিষ্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল ও মুহম্মদ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক অভি জাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমিত রায়, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক দীপু মাহমুদ প্রমুখ।
সোনারগাঁয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন কবি শাহেদ কায়েস। ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই দুপুরে বালু উত্তোলন করার প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা শাহেদকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ছিল। তিন ঘণ্টা পর সোনারগাঁ থানার পুলিশ মেঘনা পুলিশের সহায়তায় শাহেদকে উদ্ধার এবং একজনকে গ্রেপ্তার করেছেন।
বর্তমানে সোনারগাঁয়ের জেলে পরিবারের সন্তানদের জন্য মায়াদ্বীপ পাঠশালা সহ আরও কয়েকটি ব্যতিক্রমী পাঠশালা পারিচালনা করছেন তিনি। সম্প্রতি স্কুল গুলোর মেরামত করার জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশনে অনুষ্ঠিত ইত্যাদি নামক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান থেকে তাকে অর্থ প্রদান করা হয়।
প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনার বিবরণ দিয়ে শায়েদ কায়েস বলেন, সুবিধা বঞ্চিত সম্প্রদায়ের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মায়াদ্বীপ জেলে শিশু পাঠশালা। সেই স্কুলটি দীর্ঘ ১৬ মাস করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ ছিল, এখন আবারও বন্ধ করে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবত পায়তারা চলছে। গত কয়েক মাস একটি মহল স্কুলের ক্লাস না করানোর জন্য শিক্ষকদের হুমকি দামকি দিচ্ছেন। গত ৩ দিন আগে স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম আক্তার পাখির বাড়িতে ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী গিয়ে হামলা করে, এতে শিশুসহ ৪ জন আঘাত প্রাপ্ত হন।
বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, মাদকের একটি ভয়ঙ্কর স্পট নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ভালো করেই জানেন। শিক্ষকের বাড়িতে শুধু আওয়ামী লীগ আর জাতীয়পার্টির কর্মী হামলা করেনি, এই হামলার পিছনে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয়পার্টির নেতৃবৃন্দরা যুক্ত রয়েছেন। এই কারণেই আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মাননীয় পুলিশ সুপার সাহেব, আপনি খুবই মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন, কিন্তু পাঠশালার একজন নারী লাঞ্চিত হয়, তার বিরুদ্ধে আপনি কোনো ব্যবস্থা নেননি?
রফিউর রাব্বি বলেন, সরকার দূশাসন চালিয়েও সুশাসনের জন্য বিভিন্ন কথা বলছেন, বিরোধী দলকে দমনের জন্য জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছেন। আমাদের দেশে পুলিশ-প্রশাসন রয়েছে, আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি, মায়াদ্বীপের ঘটনায় তারা সন্ত্রাসীদের সহযোগীতা করছেন। আমি দাবি করবো, সরকার দলের নেতার নেতৃত্বে যে ২০-২৫ জন হামলা করেছে, তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আওতার আনতে হবে।