রাত পোহালেই ভোটের লড়াই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে নারায়ণগঞ্জের ৩টি উপজেলায় ভোট গ্রহণের আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি।

রোববার (৩১ মার্চ) সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি।

উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা হয় গত ২০ ফেব্রুয়ারি। তাতে ভোট গ্রহণের তারিখ ৩১ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই নির্বাচনে জাতীয়তাবাদি রাজনৈতিক দল (বিএনপি) অংশ না নিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত আওয়ামী লীগে আওয়ামীলীগে। তবে এখন সাধারণ মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হলো কারা পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য উপজেলা পরিচালনার দায়িত্বে আসছে, পাচ্ছেন অভিভাবকের চেয়ার।

এবারও কি বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্ধারিতরা জিতবে, নাকি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রর প্রার্থীরা জিতবে, এমন নানামুখী আলোচনার উত্তর পাওয়া যাবে রোববার রাতের মধ্যেই। বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের পর শুরু হবে ভোট গণনা। এরপর রাত ১০ থেকে ১১টার মধ্যে উপজেলার পরবর্তী অভিভাবক কারা হচ্ছে, সে সম্পর্কে জানতে পারবে সাধারণ মানুষ।

এবিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাব্বী মিয়া বলেন, নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। যেকোন সমস্যাই আমাকে ফোন দিবেন। আমি আপনাদের সাথে আছি।

এদিকে নির্বাচনী সব সরঞ্জাম ইতিমধ্যে মাঠপর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে দায়িত্বে রয়েছে হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এর মধ্যে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, কোস্টগার্ড, বিজিবি সদস্যরা থাকবেন।

এক নজরে না.গঞ্জের ৩ উপজেলার নির্বাচন:

আড়াইহাজার উপজেলা:

ভোট কেন্দ্র: ১‘শ ১৩টি
ভোটকক্ষ: ৭‘শ ১৭টি
মোট ভোটার: ২ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬৭ জন
পুরুষ ভোটার: ১ লাখ ৪৪ হাজার ১২২ জন
নারী ভোটার: ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৫ জন

রূপগঞ্জ উপজেলা:

ভোট কেন্দ্র: ১ ‘শ ২৭টি
ভোটকক্ষ: ৮ ‘শ ৭৫টি
মোট ভোটার: ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৮৮৮ জন
পুরুষ ভোটার: ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৫৫ জন
নারী ভোটার: ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৩৩ জন

সোনারগাঁ উপজেলা:
ভোট কেন্দ্র: ১ ‘শ ১৮টি
ভোটকক্ষ: ৮‘শ ৭৬টি
মোট ভোটার: ৩ লাখ ৩ হাজার ৮৭২ জন
পুরুষ ভোটার: ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭০২ জন
নারী ভোটার: ১ লাখ ৪৭ হাজার ১৭০ জন

বিধিনিষেধ
নির্বাচন উপলক্ষে মধ্যরাত (রাত ১২টা) থেকে ভোটের দিন দিবাগত মধ্যরাত (রাত ১২টা) পর্যন্ত বেবি ট্যাক্সি/অটোরিকশা/ইজিবাইক, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পোসহ স্থানীয় যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞার সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি, পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। এ ছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক ও কতিপয় জরুরি কাজ যেমন: অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদির কাজে নিয়োজিত যানবাহনে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

এ ছাড়া মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।