রূপগঞ্জে বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন ইউএনও

রূপগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জে ইউএনও এর হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী স্মৃতি আক্তার (১৩)।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার তারাব পৌরসভার রূপসী স্লুইসগেইট এলাকায় ওই ছাত্রীর বিয়েতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন মমতাজ বেগম। তবে সেচ্ছায় বাল্য বিয়েতে রাজি থাকায় কনেসহ তার বাবা মাকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে।

প্রতক্ষ্যদশীরা জানান, তারাব পৌরসভার রূপসী স্লুইসগেইট এলাকার রবিউল্লাহ তার মেয়ে ও স্থানীয় নিউ মডেল স্কুলের অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী স্মৃতি আক্তার (১৩)কে বাল্য বিয়ে দিচ্ছিলেন। বর পার্শ্ববর্তী সোনারগাঁও উপজেলার কাচঁপুর খান বাড়ি এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। শুক্রবার বিয়ের নির্ধারিত দিনে বরযাত্রী আসার পূর্বে দাওয়াতের অতিথিগণ যখন খাওয়া-দাওয়া করছিলেন তখন বাল্যবিয়ের সংবাদে সেখানে হাজির হন রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মমতাজ বেগম।

এ সময় তিনি বাল্য বিয়ে বন্ধ করার আহ্বান জানালে কনে স্মৃতি এসে দাবি করে সে সেচ্ছায় এ বিয়েতে রাজি হয়েছেন। এ কারণে কনে স্মৃতিসহ তার বাবা রবিউল্লাহ ও মা লাকি বেগমকে ইউএনওর নির্দেশে আটক করে পুলিশ। এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত আটককৃতরা তারার রূপগঞ্জ থানা হাজতে আটক রয়েছে।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম, আমি তাদের অনুরোধ করেছি প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া অবধি মেয়েটিকে বিয়ে দিবে না এই মর্মে অঙ্গীকার নামা প্রদান করতে। তারা রাজি হচ্ছেনা বলে তাদের হাজতে রাখা হয়েছে। যদি অঙ্গীকারনামা দেয় তাহলে তাদের ছেড়ে দিবো। অন্যথায় আইনানুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।