লক্ষ্যার তীরের ৭ শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর করা হচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অননুমোদিতভাবে তৈরি হয়েছে ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জেই রয়েছে ৭টি পাকা/আধাপাকা প্রতিষ্ঠান, নদীর সীমানা পিলারের ভিতরে থাকায় এগুলো স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিন-চারতলা মসজিদ, মন্দির, মাদরাসা, স্কুল ও মাজার রয়েছে। অননুমোদিত এসব ধর্মীয়
প্রতিষ্ঠানের নিচতলায় দোকান ও গোডাউন ভাড়া দিয়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। নদী দখল করে এসব
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রভাবশালীরা নদীর তীর ভরাট করে ফেলছে বলে স্থানীয়রা জানান।

ইতোমধ্যে নদীর রক্ষা ও সীমানা পিলার স্থাপন বিষয়ে ৮৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে পরিকল্পনা
কমিশন। এজন্য নদী দূষণ ও দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার।

প্রতিষ্ঠানগুলো- নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আধাপাকা গাউসুল আজম জামে মসজিদ, সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলোগেট এলাকায় আধাপাকা
পাঁচতারা জুনিয়র হাইস্কুল, সিদ্ধিরগঞ্জের শ্মশানঘাট এলাকায় একতলা কালী-শিবমন্দির, সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর ল্যান্ডিং স্টেশন
এলাকায় টিনশেড ঘরে পাঞ্জেগানা নামাজ ঘর, রূপগঞ্জের রূপসী এলাকায় একতলা পাকা দক্ষিণ রূপসী বায়তুল আনাম জামে
মসজিদ, রূপগঞ্জ এলাকায় একতলা পাকা হযরত পাঁচপীর শাহ দরগাহ শরীফ, চানপাড়া এলাকায় গড়ে উঠেছে দোতলা
মেসের পাগলের মাজার।

এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ অংশ নদীর তীর দখল করে তৈরি করা হয়েছে। তাই নদীর সীমানা পিলারের ভিতরে যতটুকু
অংশ পড়বে তা উচ্ছেদ করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানান্তর করা হবে বলে বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়।