স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: বেশ কিছু দিন ধরেই নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ উত্তপ্ত। বিশেষ করে জেলা পুলিশ প্রশাসনের কিছু কার্যক্রম সহজে নিতে পারছেন ক্ষমতাশীন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ। অনেকটা অদৃশ্য দ্বন্দ্ব চলছে।
রাজনীতির মাঠ গরম হয় প্রথমে মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজামের বিরুদ্ধে ওসির জিডির মাধ্যমে। এর পর একটি বিশেষ অভিযানে সাংসদ শামীম ওসমানের শ্যালকের নাম সম্পৃক্ত করার ঘটনায় চরম উত্তজনা শুরু হয়। তবে আলোচিত এসব নিয়ে কোনো ধরণের উচ্চবাচ্য করেননি সাংসদ শামীম ওসমান। মনে করা হচ্ছে শেষতক তিনি মুখ খুলতে চলেছেন। কেন না শনিবার (৬ এপ্রিল) তিনি ডেকেছেন কর্মীদের। করবেন কর্মী সম্মেলন।
ইসদাইর বাংলা ভবনে দুপুরে ওই কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান।
কর্মী সম্মেলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল। তিনি জানান, “ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ব্যানারে ইসদাইর বাংলা ভবনে দুপুর তিনটার দিকে এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সাংসদ তার কর্মীদের সাথে এদিন আলোচনা করবেন।”
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী জানান, “নির্বাচনের পূর্বে কর্মীদের কাছে তিনি কথা দিয়েছিলেন সব এলাকায় এলাকায় যাবেন। সে বিষয় নিয়েই তিনি কর্মীদের সাথে কথা বলবেন।”
মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল বলেন, শামীম ভাইয়ের আহ্বানে আওয়ামীলীগের সকল সংগঠনের সর্বস্তরের শীর্ষ নেতারাই উপস্থিত থাকবেন।
সূত্র বলছে, গেল কয়েকদিন ধরেই শহরজুড়ে আলোচনা চলছিলো সাংসদ শামীম ওসমানের সাথে জেলা পুলিশ সুপারের দূরত্ব নিয়ে। এরমধ্যে সাংসদের ঘনিষ্ঠজন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামের নামে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন একই থানার ওসি (বিদায়ী) শাহ মঞ্জুর কাদের।
এছাড়াও সাংসদের শ্যালক তানভীর আহম্মেদ টিটুকে মেরী এন্ডারসনে মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি তার আরেক ঘনিষ্ঠজন নাজমুল আলম সজলকে শিশু সাদমান সাকিকে অপহরণকারী হিসেবেও উল্লেখ করে সভা সমাবেশ হয়েছে নগরে। তাছাড়া সাংসদের ছেলের সম্বন্ধি বিকির নামে মামলা দায়ের। ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষে টিটু নাজমুল ইস্যুতে আল্টিমেটাম। সব মিলিয়ে গত কদিন ধরে বেশ উত্তাপ ছড়াচ্ছিলো শহরের পরিবেশ।
তবে, এতকিছুর মধ্যেও নিশ্চুপ ছিলেন সাংসদ শামীম ওসমান। বলেননি কোনো কথাই। এ নিয়ে তার কর্মীদের মধ্যেও বিরাজ করছিলো নানা আলোচনা সমালোচনা। অন্যদিকে সাংসদের নিন্দুকেরা এ নিয়ে ছড়াচ্ছিলো নানা কুৎসা। যার ফলে শনিবারের কর্মী সম্মেলন বা সভাটি অনেকের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্ববহন করে। সবারই এখন আগ্রহ, কী বলবেন সাংসদ শামীম ওসমান, কর্মীদেরকেই বা কী দিকনির্দেশনা দিবেন, তা জানার জন্য।