শান্তির বৃষ্টি নাকি নগরবাসীর ভোগান্তি!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: তীব্র গরমে এক পশলা বৃষ্টি নগরবাসীর জন্য নিয়ে এসেছে শান্তি অবসান। তাপদাহে দুর্বিসহ জীবনে বুলিয়ে দিয়েছিল শান্তির পরশ। প্রত্যেকটি মানুষ যেন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। কিন্তু নগর জীবনে সেই বৃষ্টিই দুগর্ন্ধ আর ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শান্তির বৃষ্টি এখন সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ।

সরেজমিন, নগরীতে বঙ্গবন্ধু সড়কে ফুটপাতের পাশে ড্রেন গুলো পরিস্কার করে ড্রেনের ময়লা রাস্তার পাশে রাখা হয়েছে। জমে থাকা ড্রেনের ময়লা হালকা বৃষ্টিতে ছড়িয়ে পড়ছে বঙ্গবন্ধু সড়কে। এতে ছাড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ ও রোগ জীবানু। হাটতে গেলেও ময়লা গায়ে ছিটে ফোঁটা লাগছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পথচারী বলেন, যোহরের নামজ পড়তে বের হয়েছিলাম। নামায না পড়েই বাড়ি ফিরছি। ড্রেনের ময়লা পায়ের সাথে ছিটে এসে গায়ে পড়ছে। এতে নাপাক হয়ে গেছে আমার কাপড়। তাই বাসায় গিয়ে আবার গোসল করে নামাজ আদায় করতে হবে।

এক গার্মেন্টস শ্রমিক জানান, সকালে এখন দিয়ে কর্মস্থলে গেছি। তখন খুব দুগর্ন্ধ ছিলো। এখন তো ছড়িয়ে গেছে রাস্তায়। ময়লা গুলো এখন গায়ে এসে পড়ছে।

সিটি কর্পোরেশনের ময়লা পরিস্কার না করায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি তুলে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি তার ফেসবুক ট্যাটাসে বলেন ‘ময়লা পরিস্কারের এই পদ্ধতি আমার মাথায় ঢোকে না!!!ড্রেন থেকে ময়লা তুলে ৩/৪ দিন এভাবেই ফেলে রাখা হয়।তাও দুপুরে প্রচন্ড ভীড়ের সময়ে কাজটা করা হয়। সেগুলো আমাদের নাক,চোখের ১২ টা বাজিয়ে আস্তে আস্তে শুকায় তারপর ট্রাকে করে তুলে নিয়ে যায়। এর মাঝে যদি বৃষ্টি নামে তাহলে তো পরিস্থিতি এমন হয়।
তেলবাহী ট্রাকের মতন ঢাকনাওয়ালা একটা ট্রাকে (কাস্টমাইজ ডিজাইন) করে কি ময়লাগুলো তাৎক্ষনিক নেয়া যায় না? কাজটা কি রাতের বেলা করা যায় না?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাদের মোবাইলে একাধিবার ফোন করলে, তারা ফোন রিসিভ করেনি।