লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লায় ৬৯নং পশ্চিম মাসদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকালে পশ্চিম মাসদাউর স্কুল প্রঙ্গনে ওই পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিক মালিকত সমবায় সমিতির সভাপতি ও বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
এ সময় বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করা বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরুষ্কার তুলে দেয়। এছাড়া স্কুলের বিভিন্ন গঠনমূলক কাজে সম্পৃক্ত হওয়া প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় এই ব্যবসায়ী নেতা। প্রতি বছর প্রতিটি ক্লাসের ৩জন শিক্ষার্থীকে ভালো রেজাল্ট করার জন্য পুরুষ্কারের ঘোষণা দেয় মোহাম্মদ হাতেম।
তিনি বলেন, আজকে আমি এসেছি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। আমি একজন ব্যবসায়ী হতে পারি, ব্যবসায় নেতৃত্ব দিতে পারি। কিন্তু আমি শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ততা দীর্ঘদিনের, নারায়ণগঞ্জে আমার একটি ‘ফিলোসফিয়া ইংলিশ মিডিয়াম এন্ড ইংলিশ ভার্সন’ স্কুল আছে। ২০০১ সাল থেকে আমি সেই স্কুলের সাথে সম্পৃক্ত। এছাড়া প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমান ভাই আমাকে নারায়ণগঞ্জ কলেজের গর্ভনিং বডির সাথে সম্পৃক্ত করেছেন। পরে আমাদের বড় ভাই সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ভাই নারায়ণগঞ্জ কলেজের সভাপতি ছিলেন, তিনি যখন ছেড়ে দিচ্ছিলেন, আমাকে তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণ যখন দিয়েছেন আমি সাথে সাথে সেটা গ্রহন করেছি। আমি প্রতি বছর এই স্কুলে আসবো, কিন্তু তার জন্য শর্ত প্রযোজ্য। এই স্কুলে ৩ শিফটে ১৬টি ক্লাস। এদের মধ্যে যারা ভালো রেজাল্ট করবে, তাদের মধ্যে প্রতি ক্লাসে ৩টা করে পুরুস্কার দিবো প্রতি বছর।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু শিক্ষাকে আরও উন্নত করছে। বিশ্বের বুকে আমাদের বাংলাদেশকে বৃহত্তর স্থানে নিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিজ দেশের অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরী করা হয়েছে। এর জন্য সারা বিশ্বে আমাদের মাথা উচুঁ করেছে। তিনি অর্থনৈতিক ভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী নারীদের জন্য ডিগ্রী পর্যন্ত লেখাপড়া ফ্রী করে দিয়েছেন। আজকে জাতীয় সংসদে স্পিকার মহিলা, প্রধানমন্ত্রী মহিলা, বিরোধী দলের নেত্রী মহিলা। দেশটা মহিলারাই চালাচ্ছে, তোমরা কেনো পিছিয়ে পড়বে। তোমরাও এগিয়ে চলো তাদের মতো।
শিক্ষার্থীদের উদ্যেশে হাতেম বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভালো মানুষ হতে হবে। লেখাপড়া শিখে যদি মানুষের মতো মানুষ না হতে পারো, তাহলে তোমাকে দ্বারা এই সমাজ কোন উপকৃত হবে না, এই রাষ্ট্র কোন উপকৃত হবে না। শিক্ষকদের কাছে আমরা অনুরোধ থাকবে আপনারা শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার শিক্ষাটা ভালো ভাবে দিবেন। অভিভাবকদের বলবো, ঘর থেকেই কিন্তু প্রাথমিক নৈতিক শিক্ষাটা দিতে হবে। বাচ্চারা যাতে অনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত না হয় সেই দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। নৈতিকভাবে শিক্ষার্থীরা গড়ে উঠলে আগামীদিনে তারা সফল নেতৃত্ব দিতে পারবে।
এ সময় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুল হক, মহিলা ইউটি মেম্বার ফারহানা আক্তার, মাসদাইর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাহাবুদ্দিন মাদবর, সমাজ সেবক মীর জাকারিয়া জাকির, জালাল উদ্দিন প্রধান, মোস্তফা কন্ট্রাকটর, রমিজ উদ্দিন রমু, শ্রী রঞ্জিত মল্লিক, মো. কাইউম প্রমুখ।