লাইভ নারায়ণগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগর নতুন বাজার এলাকায় আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে একপক্ষের মামলার আসামি ফারুককে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
এনসিসি প্যানেল মেয়র-২ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতিকে আহত করার ঘটনায় তাঁর ভাই মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আজিজুল হক।
মাহবুবুর রহমান মামলায় উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে বের হন মতিউর রহমান। পথিমধ্যে আসামিরা মতিকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। এতে সে মারাত্মক আহত হয়। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা চালানো হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ মামলায় আসামিরা হলেন, ইসমাইল, হান্নান, ফারুক, মজিবর, নাঈম, আলমগীর, হাসান মোস্তফাসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জন। এ মামলায় ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপরদিকে পাল্টা মামলাটি দায়ের করেন ইসমাইলের ভাবী রোকেয়া বেগম। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, সুমিলপাড়ার নতুন বাজার এলাকার আবেদ আলীর হাজী বাড়িতে তার পৈতৃক সাড়ে ৩ শতাংশ জমি রয়েছে যা দখল করতে সেখানে আসামীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের উপর হামলা করে তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এতে তাদের কয়েকজন আহত হয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এই মামলার আসামিরা হলেন, রাজ্জাক, মনির, রফিকসহ অজ্ঞাত আরও ১০ জন। এরা সকলেই প্যানেল মেয়র মতিউর রহমান মতির সমর্থক।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী নতুন বাজার এলাকায় আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় প্যানেল মেয়র মতিউর রহমান মতিসহ ১০ জন আহত হয়। প্যানেল মেয়র মতি আহত হওয়ায় ক্ষুব্দ সমর্থকরা প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলা চালায়। পুড়িয়ে দেয়া হয় সিদ্ধিরগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কার্যালয়টি।