সোনারগাঁয়ে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

লাইভ নারায়ণগঞ্জ : সোনারগাঁয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লাল মিয়া নামের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ললাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আব্দুস সামাদ ও তার ছেলে মহিউদ্দিনকে আটক করেছে।

 

নিহত লাল মিয়ার ছেলে মোক্তার হোসেন ও এলাকাবাসী জানায়, ললাটি গ্রামে ১৯ শতাংশ বসতবাড়ি নিয়ে খোরশেদ মিয়ার সাথে তার প্রতিবেশী আব্দুস সামাদের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে প্রায় ২০ বছর যাবত আদালতে মামলা-মোকাদ্দমা চলছে।

আদালতে মামলা থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি আব্দুস সামাদ আমমোক্তার নামা দলিলের মাধ্যমে ওই জমি উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে হাজী আনোয়ার হোসেনের কাছে বিক্রি করে দেয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে হাজী আনোয়ার হোসেন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত একদল সন্ত্রাসী নিয়ে ওই জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে তা দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় হট্টগোল শুনে খোরশেদ মিয়ার ফুপা লাল মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে জমি দখলে বাধা দেয়।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা লাল মিয়ার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী ধাওয়া দিলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসে এলাকাবাসী আগুন লাগিয়ে দেয়।

এলাকাবাসী জানায়, হাজী আনোয়ার হোসেন মানুষের কাছে বলে বেড়ায় যে সে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রভাবশালীদের সাথে চলাফেরা করে এবং এই সংক্রান্ত ছবি সে বিভিন্ন সময় ফেসবুকে পোষ্ট করে মানুষকে ভয়ভীতি দেখায়।

তাছাড়া সে নিজেকে একজন এমপির নাতি বলে দাবি করে ভূমিদস্যুতা সহ নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাকে কিছুই বলে না।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনার পরপরই দুজনকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) খোরশেদ আলম জানান, জেলার পুলিশ সুপার নির্দেশে পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতারে জন্য কাজ করছে।

তিনি বলেন, যে গাড়িটি উত্তেজিত জনতা পুড়িয়ে দিয়েছে সেই গাড়িটির মালিক ফুলহরের সন্ত্রাসী হাবিবের বলে আমারা জানতে পেরেছি। হাবিব বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ করে ।

তাকেসহ এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।