জয়নালকে সেলিম ওসমান ‘মামলা করার মজা বুঝা‌বো’

স্টাফ করেসপেন্ডন্ট,লাইভ নারায়ণগঞ্জ: ‘বারবার কথা উঠছে গেটের সামনের জায়গাটা কলেজের নামে যেন দেয়া হয়। আমি তোমাদের মত করে দাবি করলাম। মাননীয় জেলা প্রশাসক আপনি কলেজে আসেন এবং দেখেন। আমার কমলমতি মেয়েদের কলেজে যাতায়াত করতে অসুবিধা হচ্ছে। যারা এই জায়গাটা দখল করতে চায়, আপনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। আর না হয় আমরা কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে দিব। আমি বিরোধী দলের এমপি। কোন ছাত্র ছাত্রীর অসুবিধা হলে আমি মেনে নিব না।’

শনিবার (৩০ মার্চ ) দুপুরে সরকারি মহিলা কলেজ মাঠে নবীণ বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলার ৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান এ কথা বলেন।

সরকারি মহিলা কলেজের উদ্যোগে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অত্র বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ প্রফেসর বেদৌরা বিনতে হাবিব। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাষ্ট্রিয়ালের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বেলা রানী সিংহ, নারায়ণগঞ্জ কলেজ অধ্যক্ষ ফজলুল হক রুমন রেজা, সরকারি মহিলা ও তোলারাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. শিরিন বেগম, সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ দবিউর রহমান এছাড়াও সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীরা।

সেলিম ওসমান বলেন, অধ্যক্ষ সাহেব আমি আপনাকে অনুরোধ করলাম, আপনি জেলা প্রশাসকের কাছে আবারো একটি চিঠি দিবেন। যদি জেলা প্রশাসক না আসতে পারেন তার ডিপার্টমেন্ট থেকে কেউ যেন এসে দেখে যান। তারা যদি ব্যবস্থা না নেন, আমরা যারা নারায়ণগঞ্জের নেতৃত্বে আছি, তারা সকলে মিলে ব্যবস্থা নিবো। কিভাবে একজন মানুষ একটার পর একটা জায়গা দখল করছে। তার নামে নাকি ১৮টা মামলা আছে।

তিনি আরো বলেন, আমি শুনে অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছি নারায়ণগঞ্জের গার্লস কলেজের প্রিন্সিপালের নামে মামলা করে। সে কত বড় মামলাবাজ হতে পারে। আমরা প্রত্যেকটা ছাত্রছাত্রী মিলে সবাই তার নামে একটা করে মামলা দিবো। সকল শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের নিয়ে তার নামে বরিশাল, যশোর, খুলনা মামলা করব। ওরে মামলা করা মজা বুঝায় দিবো।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেনম, তোমরা উপার্জন করতে শিখ। ভাল আচার, হালুয়া বানাও এবং সেগুলো বন্ধুবান্ধবের কাছে বিক্রি করো। বাসায় জায়গা থাকলে ফুলের চাষ করো, যেগুলো বন্ধুবান্ধবের কাছে বিক্রি করা যায়। আজকে আড়ংসহ বড় বড় শপিং কমপ্লেক্স এভাবে উঠেছে।

প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগে সরকারি মহিলা কলেজের জায়গাটি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রিয় সদস্য জয়নাল আবেদিন নিজের জায়গা দাবী করে দখল করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সকল শিক্ষার্থীলা আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং এই জায়গাটি কলেজের নামে করে দেয়ার দাবী জানান। সেই সাথে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্বারক লিপিও দিয়েছিলেন।