লাইভ নারায়ণগঞ্জ: স্বামীর বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন ফাতেমা আক্তার। ১৭ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়লেও তার স্বজনদের বিষয়টি জানাননি স্বামী। মৃত্যুর পর বিষয়টি জানতে পরে স্বজনদের অভিযোগ, ফাতেমাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরিবারকে কিছু জানাননি।
ঘটনাটি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লালপুর এলাকায় ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহত ফাতেমার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
ফাতেমা আক্তারের অভিযুক্ত স্বামীর নাম আরিফ হোসেন ৩৫। সে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার আলী আহম্মদের ছেলে।
ফাতেমার বড় ভাই মুন্না বলেন, আরিফ হোসেনের কাছে ১৫ বছর আগে ফাতেমাকে বিয়ে দিই। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য নানাভাবে ফাতেমাকে নির্যাতন করতো স্বামী। তাদের সংসারের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। সম্প্রতি লালপুর কাজী বাড়িতে ইজিবাইক কেনার জন্য এক লাখ টাকা ফাতেমার কাছে দাবি করেন আরিফ। সেই টাকা ফাতেমা দিতে পারেনি বলে তার ওপর নির্যাতন চালান আরিফ। বিষয়টি তাদের বাড়ির আশপাশের অনেকেই জানে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে গত ৯ মার্চ কেরোসিন ঢেলে ফাতেমার শরীরে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করে আরিফ ও তার পরিবারের লোকজন। বিষয়টি আশপাশের লোকজন দেখে ফেলায় ফাতেমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু আমাদের কাউকে কিছু জানায়নি। খবর পেয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে ময়নাতদন্ত করিয়েছি। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, এ ঘটনায় আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।