লাইভ নারায়ণগঞ্জ: যাত্রী পরিবহনের নামে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে অধিক অর্থলাভের আশায় মো. সোহেল রানা(৩০) মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। তখন থেকে যাত্রী পরিবহনের আড়ালে নিয়মিত মাদকের চালান দেশের বিভিন্ন জেলায় সরাসরি ক্রয়-বিক্রয় করে আসছেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের এক ব্যাক্তির সাথে চুক্তি হয় ফেন্সিডিলের চালান পৌঁছে দেয়া।
মাদকের এমন চালান সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছেন র্যাব-৩-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফারজানা হক।
এদিকে, ফেন্সিডিল পাচারকালে বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিলসহ অভিযুক্ত মো. সোহেল রানাকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩)। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে রাজধানীর কাপ্তানবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৫৮১ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয় বলে জানায় র্যাব।
র্যাব-৩-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফারজানা হক গণমাধ্যমকে জানান, অভিযান চালিয়ে প্রাইভেট কারের ভেতরে বস্তা থেকে ৫৮১ বোতল ফেন্সিডিলসহ সোহেল রানাকে আটক করা হয়। উদ্ধার ফেন্সিডিলের আনুমানিক বাজার মূল্য ১১ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
আটক সোহেলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে ফেন্সিডিলের চালানটি পৌঁছে দিতে এক ব্যক্তির সঙ্গে সোহেলের চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী ফেন্সিডিলের চালান পৌঁছে দেওয়ার আগেই তাকে আটক করা হয়।
আটক সোহেল রানা ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কারে যাত্রী পরিবহন করে জীবিকা নির্বাহের আড়ালে মাদক ব্যবসা করে থাকেন। সাধারণত ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে যাত্রী পরিবহন করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতেন তিনি। ফেরার পথে সেখান থেকে মাদকের চালান নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দিতেন সোহেল।
এই কর্মকর্তা বলেন, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে অধিক অর্থলাভের আশায় মো. সোহেল রানা(৩০) মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। তখন থেকে যাত্রী পরিবহনের আড়ালে নিয়মিত মাদকের চালান দেশের বিভিন্ন জেলায় সরাসরি ক্রয়-বিক্রয় করে আসছেন তিনি।
গত ৫ বছরে ৬০টিরও বেশি মাদকের চালান দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করা সোহেল চালানপ্রতি ৫০০ থেকে ২ হাজার বোতল ফেন্সিডিল বহন করতেন। ফেন্সিডিলের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে গাঁজা ও ইয়াবার একাধিক চালানও বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
২০২১ সালের ৩ অক্টোবর কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গাঁজার চালান নিয়ে ঢাকায় আসার সময় আশুগঞ্জ এলাকায় তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সে-সময় তিন মাস জেল খাটার পর জামিনে বের হয়ে আবারও মাদক ব্যবসা শুরু করেন সোহেল। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এএসপি ফারজানা।