‘৯৯৯’ ফোন দিয়েও পুলিশের সেবা পেল না!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: প্রত্যেক মানুষের জীবনে যেকোনো সময় বিপদ আসতে পারে; এই বিপদের মুহূর্তের কথা ভেবেই ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ‘৯৯৯’ চালু করেছে সরকার। অথচ, সেই ৯৯৯ ইমার্জেন্সি সার্ভিসে ফোন করে বিপত্তিকর পরিস্থিতিতে পরেছে সেবা গ্রহীতা নিজেই।

গত সোমবার (১০ মার্চ) রাতে নগরীর পশ্চিম দেওভোগ পানির ট্যাঙ্কি এলাকায় কালু সরদারের অটো গ্যারেজের সামনে
একটি বাড়িতে এঘটনা ঘটে। নিরাপত্তাহীনতা থেকে ভাড়াটিয়ারা এখন বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চাইছে।

৯৯৯ এর সেবা গ্রহীতা মো. মশিউজ্জামান পাবেলের ভাষ্যমতে, ‘তখন রাত পৌনে ৮টা। বোন বিদেশ থাকে, তাই বোনের
বাড়ির ভাড়াটিয়াদের খোঁজ খবর নিতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে প্রবেশ করতেই চোখ উঠে গেছে চরক গাছে! গিয়ে দেখি
বহিরাগত মুছা নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে মাদক সেবীরা আসর বসিয়েছে। প্রতিবাদ করলে বাড়ি থেকে মাদক
সেবীরা বের হলেও লোকজন জানান, রাস্তায় আমার উপর আক্রমনের জন্য অবস্থান করছিলো ওই মাদক সেবীরা।

পরে তাৎক্ষনিক ফোন করি ৯৯৯ নম্বরে। এসময় তাদের দেওয়া নম্বরে ফতুল্লা থানার ওসিকে জানালে তিনি আন্তরিকতার সাথেই
ডিউটি অফিসারের নম্বর দেন। পরে ডিউটি অফিসার পুলিশের এস আই ইলিয়াস হোসেনের নম্বর দেয়। কিন্তু ওই পুলিশ
কর্মকর্তা আসতে আসতে রাত তখন ১১টা ছুই ছুই। এ পুরোটা সময়টি বাড়ির একটি ঘরে অবরুদ্ধ ছিলাম। ’

পরের ঘটনা আরো ভয়াবহ জানিয়ে মশিউজ্জামান পাবেল বলেন, এসআই ইলিয়াস এসেছে ঠিকই কিন্তু গাড়ি থেকে নেমেও
দেখেনি। গাড়ির ড্রাইভারের সাথে অন্য পুলিশ সদস্যরা বাড়ির ভিতরে অবস্থান পরিদর্শন কালে বলেন, ‘এটা মাদক
খাওয়ার স্থান, মাদকতো খাবেই। ’ আর গাড়িতে অবস্থান করা এস আই ইলিয়াস হোসেন সমাধান হিসেবে বাড়ির কাজ
ধরতে বলে দিয়ে চলে যেতে চায়। পরে নেমে ঘটনাস্থল দেখতে বললে পুলিশের এসআই ইলিয়াস আমার উপর রেগে যান। খুবই খারাপ আচরণ করে। তখন আমার মনে হয়েছে, ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আমিই বুঝি অপরাধ করে ফেলেছি। এদিকে
ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতা থেকে ভাড়াটিয়ারা এখন বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চাইছে।

এবিষয়ে ফতুল্লা থানার এসআই ইলিয়াস হোসেন বলেন, বাড়িটা ভূতুরে বাড়ির মতো। সেখানে মাদক সেবনের ঘটনা ঘটতেই
পরে। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এর আগেই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক সেবীরা চলে গেছে।