৯ ফেব্রুয়ারী ‘ভিটামিন এ’ খাবে জেলার ৩ লাখ ১০ হাজার শিশু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইভ নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ নগরী ও উপজেলা পর্যায়ে ৬-৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৩৩ জন শিশুকে ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারী। এর মাঝে ৬ থেকে ১১ মাসের ৩৬ হাজার ৭৯ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সের ২ লাখ ৭৪ হাজার ৩৫৪ জন শিশুকে ১টি করে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

গত ১৯ জানুয়ারী ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা থাকলেও জাতীয় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. মো. ইউনুস স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অনিবার্য কারণবশত এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। গত ৩০ জানুয়ারী পুনরায় ৯ ফেব্রুয়ারীকে নির্ধারণ করে আবারও ভিটামিন এ খাওয়ানোর ঘোষণা করেন।

এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন বলেন, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র থাকবে ১ হাজার ৫৬টি, ভ্রাম্যমান কেন্দ্র থাকবে ১৫টি সর্বমোট ১ হাজার ৭১টি কেন্দ্রে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। চার মাসের মধ্যে কোনো শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে থাকলে তাকে ওই ক্যাম্পেইনে আর খাওয়ানো যাবে না।

তিনি আরো জানান, এসব টিকাদান কেন্দ্রে সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন সংস্থার ২ হাজার ১৪২ জন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মী, শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন “এ”প্লাস ক্যাম্পেইন সম্পন্ন করা হবে বলে।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সামনে অ্যাডভোকেসি ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এসময় জানানো হয়, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল মাঠকর্মী বা এনজিও কর্মীদের নিজহাতে খাওয়াতে হবে। কোনো অবস্থাতেই অভিভাবকদের হাতে ক্যাপসুল দেওয়া যাবে না।

কান্নারত অবস্থায় বা জোর করে ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ক্যাপসুলটি কাঁচি দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে কেটে ভেতরের তরলটুকু খাওয়াতে হবে। আস্ত ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। সকাল ১০ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বেশি ভিড় হয় দেখে কোনো কোনো মাঠকর্মী আগেভাগে অনেক ক্যাপসুল কেটে রাখেন, এতে ক্যাপসুলের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যাবে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments